ভিসা ও শরণার্থী সংক্রান্ত ট্রাম্পের আদেশ আংশিক স্থগিত

সাতটি মুসলমান প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেওয়া ও শরণার্থী সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে স্থগিত করে দিয়েছেন দেশটির একটি ফেডারেল আদালত। যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তাদেরকে ফেরত না পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স

সাতটি মুসলমান প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দেওয়া ও শরণার্থী সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে স্থগিত করে দিয়েছেন দেশটির একটি ফেডারেল আদালত। যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তাদেরকে ফেরত না পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের আইনজীবীদের করা মামলায় এই রায় দিয়েছে আদালত। গত শুক্রবার ১২০ দিনের জন্য শরণার্থী প্রবেশ ও ৯০ দিনের জন্য সাতটি মুসলমান প্রধান দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা ইস্যুর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প।

বিচারক অ্যান ডনলি তার রায় দেওয়ার পর বাদীপক্ষের আইনজীবীরা টুইটারে উল্লাস প্রকাশ করেন। তারা বলেছেন, “সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নীতির বিরুদ্ধে উচিৎ অবস্থান নিয়েছেন আমাদের আদালত।”

শুক্রবার ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আদেশটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করে কর্তৃপক্ষ। এতে বৈধভাবে ভিসা নিয়ে যাওয়া অনেক মানুষ বিভিন্ন বিমানবন্দরে আটকা পড়েন। এমনকি তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোরও প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এর প্রতিবাদে দেশটির প্রধান প্রধান বিমানবন্দরগুলোর বাইরে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় দুই হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখান। তারা “ওদের আসতে দাও, আসতে দাও” বলে স্লোগান দেন।

ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের আগামী তিন মাস ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ‘ইসলামি সন্ত্রাসীদের’ প্রবেশ ঠেকাতে সম্পূর্ণভাবে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

Click here to read the English version of this news

Comments