যে কারণে এখনও দেখা নেই শীতের
পৌষের প্রায় অর্ধেক শেষ হয়ে গেলেও রাজধানীতে এখনও শীতের দেখা নেই। ঠান্ডা না থাকায় শীতের পোশাকও পরতে হচ্ছে না নগরবাসীকে। এমনকি রাতের বেলা অনেকেই ফ্যান চালিয়ে ঘুমাচ্ছেন।
রাজধানীর রায়ের বাজার এলাকায় বসবাস করেন রেজাউল আহমেদ। গতকাল তিনি বলেন, “একদমই ঠান্ডা অনুভব করছি না। ঘুমানোর জন্য এখনও রাতে সিলিং ফ্যান চালাতে হচ্ছে।”
আবহাওয়ার এই অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে নগরবাসীর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করছেন।
তবে দেশের অন্যান্য অংশ বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা ঢাকার তুলনায় কম।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তারা জানান, বঙ্গোপসাগরে সর্বশেষ যে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয়েছিল সেটি আরব সাগরের দিকে চলে যায়। ওই ঘূর্ণিঝড়টি সাইবেরিয়ার দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাস বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরের দিকে নিয়ে গেছে। এর ফলে ঢাকা, নয়া দিল্লি ও কাশ্মির অঞ্চলে শীত আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
গতকাল ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, শুধু ঢাকাতেই নয় পুরো অঞ্চলটিতেই শীতের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক রকম বেশি। ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমে খুব শিগগির শীতের দেখা মিলবে। তবে এই তাপমাত্রাতেও রাতের বেলা নদী এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
গত কয়েক বছরের তাপমাত্রার তুলনায় এ বছর ডিসেম্বর মাসের গড় তাপমাত্রা প্রায় তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এ বছর ডিসেম্বর মাসের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যেখানে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে এই তাপমাত্রা ছিলো ১৮ দশমিক ২৫। ২০১২ সালে ডিসেম্বর মাসের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আরও দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিলো।
এ বছর ডিসেম্বরে গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যেখানে গত বছর ও তার আগের বছর এই তাপমাত্রা ছিলো ১০ দশমিক ০২ ও ১০ দশমিক ০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Comments