‘রামপালে ৬০ বছরে ৩.৮ কোটি টন ছাই উৎপাদন হবে’

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে সেখানে ৬০ বছরে তিন কোটি ৮০ লাখ টন ছাই তৈরি হবে। এই বিপুল পরিমাণ ছাই সুন্দরবনের জীববৈচিত্রকে হুমকির মুখে ফেলবে।
বন্যা ও সাইক্লোনে পুরো সুন্দরবনজুড়ে ছাই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে যা এই উপকূলীয় বনের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা নদীর মাছসহ জলজ পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্ভাব্য ছাই দূষণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক ডেনিস লেমি’র গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত এক সেমিনারে গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্কাইপের মাধ্যমে সেমিনারে অংশ নেন ডেনিস।
সেমিনারে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল বলেছেন দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল মতিনের সঞ্চালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইমাম ও অধ্যাপক আবুল বাশারও সেমিনারে বক্তব্য দেন।
ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার উত্তরে ১৮৩৪ একর জমির ওপর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড যৌথভাবে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজ করছে।
পরিবেশগত ক্ষতির কথা বলে বাগেরহাটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বামপন্থি ও পরিবেশবাদীদের সমন্বয়ে গঠিত সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি। সাইক্লোনের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক সুরক্ষা দেয়াল হিসেবে কাজ করা সুন্দরবনের কাছে বিদুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ স্থগিত রাখতে জাতিসংঘ থেকেও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশের ক্ষতি ন্যূনতম পর্যারে রাখার কথা বলে প্রকল্পে অনড় থাকার কথা বলছে সরকার।
Comments