রাম-রহিমের সাজা ঘোষণা, বিশ্ব মিডিয়ার নজর

ram rahim ‍singh
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং ইনসান। ছবি: সংগৃহীত

শুধু ভারতেই নয়, বিশ্ব গণমাধ্যমের নজর এখন উত্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং ইনসানের সাজা ঘোষণার দিকে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ছাড়াও হরিয়ানায় এখন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় তিন শতাধিক গণমাধ্যম প্রতিনিধি অবস্থান করছেন। বিবিসি, সিএনএন, সিনহুয়া, এপি, রয়টার্সের মতো বিশ্ব-পরিচিত গণমাধ্যমের আঞ্চলিক অফিসের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরাও এখন হরিয়ানার রহতুকে সুনারিয়া এলাকায় রয়েছেন।

আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) পঞ্চকুলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হচ্ছে না। রহতুক জেলার সুনারিয়ার কেন্দ্রীয় কারাগারে রাম রহিমের সাজা ঘোষণা করবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। দুপুরে সেনাবাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তায় জেলে পৌঁছবেন বিচারক জগজিৎ সিং-সহ দুই পক্ষের আইনজীবীরা। ওই জেলেই রয়েছেন পাঁচ কোটি ভক্তের গুরু রাম রহিম।

দেশটির গণমাধ্যম বলছে, ভারতীয় সময় দুপুর আড়াইটায় আদালত বসবে।

সেন্ট্রাল জেলের বাইরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। পুলিশ সুপার এবং আইজি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও আজ সারা দিন ওই জেলের চৌহদ্দিতে কারো প্রবেশের অনুমতি নেই। জেল গেটের পাঁচ কিলোমিটার আগে সেনা চৌকি বসানো হয়েছে। রহতুকের স্থানীয় ঠিকানা নেই এমন লোককে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

হরিয়ানার ১১ জেলা জুড়ে চলছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। হরিয়ানার পাশাপাশি পাঞ্জাবের কিছু জেলায় একইভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপর কড়া নজরদারি চলছে। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ ও রাজধানী দিল্লি জুড়ে সর্তকতা জারি করেছে প্রশাসন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল সেল গোটা বিষয়টি মনিটরিং করছে। আজও রাম রহিমের সাজা ঘোষণার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে নজরদারি করা হবে। দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নিজস্ব ইউনিটের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট সংবেদনশীল রাজ্যে কাজ করছে।

সেনাবাহিনী, আধাসেনাবাহিনী ছাড়াও জিআরপি সদস্যরাও নিরাপত্তায় থাকছেন। সাজা ঘোষণার পর উত্তেজনাসৃষ্টিকারীকে দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

গত ২৫ আগস্ট স্বঘোষিত ধর্মগুরু নিজের দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন। এ রায় এটা মানতে পারেননি গুরুর কোটি কোটি ভক্ত। তাই আদালতের বাইরে তাণ্ডব চালান তারা। ৬ ঘণ্টা ধরে এই তাণ্ডবে ৩৫ জন বিক্ষুব্ধ ভক্ত পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান। প্রায় এক হাজার ভক্ত আহত হন। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার কোটি রুপির সম্পদ নষ্ট হয়।

এই সহিংসতার ঘটনা থেকে শিখেই সাজা ঘোষণার পর টু-শব্দ করতে না দেওয়ার কৌশল নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

আরও পড়ুন: রাম রহিমের যত কীর্তি!

ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানায় সংঘর্ষে ৩২ জন নিহত

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago