রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (৩১ আগস্ট) দেশবাসী ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পৃথক পৃথক বাণীতে তাঁরা সবার শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, কোরবানির মর্ম অনুবাধন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে সকলকে সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।
তিনি বলেন, আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অকুণ্ঠ আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা অতুলনীয়।
তিনি বলেন, আল্লাহর প্রতি এই অকৃত্রিম ভালোবাসা ও ত্যাগের আদর্শ আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য। আযহার অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। তা প্রসারিত করতে হবে সকলের কর্ম ও চিন্তায়।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। এখানে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম ও আচার অনুষ্ঠানাদি পালন করে আসছে। এটি বাংলাদেশের সম্প্রীতির এক অনুপম ঐতিহ্য। সকল ধর্মের মূলবাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ। তাই ধর্মের অপব্যাখ্যা করে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। কোরবানির শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হোক। তিনি বলেন, "পবিত্র ঈদুল আযহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমা- মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।"
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়।
তিনি বলেন, "আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল-আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ গ্রহণ করি এবং বৈষম্যহীন সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।"
প্রধানমন্ত্রী পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয়বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভে যে অনন্য দৃষ্টান্ত হযরত ইব্রাহীম (আ.) স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবছর এ উৎসবের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছল মুসলমানগণ কোরবানিকৃত পশুর গোস্ত আত্মীয়স্বজন ও গরিব-দুঃখীর মাঝে বিলিয়ে দিয়ে মানুষে-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠিত করেন।
প্রতিবারের মতো এবারও কোরবানির ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনুক - এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পবিত্র এই দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করছি।"
Comments