লাল মাটির রহস্য খুঁজতে মঙ্গলে যাবে ‘ইনসাইট’
সৌর জগতে পৃথিবীর প্রতিবেশী লাল গ্রহটির প্রতি মানুষের আগ্রহ আদিকাল থেকেই। এ অঞ্চলের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন জ্যোতির্বিদরা গ্রহটির নাম রেখেছিলেন “মঙ্গল”। ২০৩০ সালে এই গ্রহের কক্ষপথে মানুষ পাঠাতে নাসার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত কয়েক দশকে নাসা মঙ্গলে পাঠিয়েছে অরবিটার, ল্যান্ডার এবং রোভার। ফলে, দিনে দিনে বেড়ে চলেছে লাল গ্রহটি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান যা গ্রহটিতে সশরীরে অবতরণের পথটিকে আরও সহজ করে দিচ্ছে।
মঙ্গলে নাসার নতুন মিশন সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে গত ২৮ আগস্ট জানানো হয়, ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ বিমান ঘাঁটি থেকে আগামী মে মাসে “ইনসাইট” নামে একটি নতুন মহাকাশ যান মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে। এর কাজ হবে গ্রহটির লাল মাটির রহস্য উদঘাটন করা।
মহাকাশ যানটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্টু স্পাথ বলেন, “গত মাসে আমাদের দল সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন ও এর পরীক্ষামূলক কাজগুলো শুরু করেছে।”
তিনি আরও জানান, ল্যান্ডারটির এখন প্রস্তুত। বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয় করা হয়েছে। এগুলো মূল নভোযানটিকে মহাকাশে পাঠানোর কাজে সহায়তা করবে।
নাসার প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, “ইনসাইট” হচ্ছে এধরণের প্রথম মিশন। এর মাধ্যমে মঙ্গলের মাটির গভীরে অনুসন্ধান চালানো হবে।
“ইনসাইট”-এর প্রধান তদন্তকারী ব্রুস ব্যানার্ট বলেন, “বিগত তিনশো কোটি বছরে পৃথিবীর চেয়ে মঙ্গলের মাটির পরিবর্তন কম হয়েছে। তাই পৃথিবীর তুলনায় এ গ্রহটির পাথুরে মাটির আদি রূপ জানা সহজ।”
প্রথমে বলা হয়েছিলো ২০ ফুট আকৃতির এই নভোযানটিকে ২০১৮ সালের ৫ মে পাঁচ সপ্তাহের জন্যে মঙ্গলে পাঠানো হবে। নেভিগেটরদের আশা ২০১৮ সালের থ্যাঙ্কস গিভিং ডে-র পরের সোমবার অর্থাৎ ২৬ নভেম্বর এটি মঙ্গলে পৌঁছাবে।
এদিকে, ২০২০ সালে মঙ্গলে একটি রোভার মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে কাজ করবে “ইনসাইট”। আর এসবই ২০৩০ এ মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর মহাপরিকল্পনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাস্তবতার পথে।
Comments