শান্তি ও ঐক্যের ডাক দিলেন দুই দেশের ৫৬ চিত্রশিল্পী

কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের যৌথ আয়োজনে চলছে ব্যতিক্রমী চিত্র প্রদর্শনী। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিস অ্যান্ড ইউনিটি’।
আয়োজকরা বলছেন, শান্তি ও ঐক্য এই দুটি সত্য মানুষের অপরিহার্য। এমন দুটি লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য মানুষেরই এগিয়ে আসতে হয়, হয়েছে এবং হবে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কোনও ঐক্য না থাকলে শুধু একটি দেশের পক্ষে এককভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
ঐক্য বজায় রাখতে হলে দেশের সরকারি কূটনীতিকদের পাশাপাশি থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যোগাযোগ, শিল্প-সাহিত্যের যোগাযোগ, মেধা এবং সংস্কৃতির যোগাযোগ - তাই এমন উদ্যোগ বলে জানান প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা লিভিং আর্ট।
ভারত সরকারের আইসিসিআইয়ের সহযোগিতায় কলকাতার হো-চি-মিন সরণির নন্দলাল বোস গ্যালারিতে বাংলাদেশ-ভারতের শিল্পীদের যৌথ চিত্র প্রদর্শনী চলছে। চারদিনের আয়োজনের আজ শেষ দিন, তাই সেখানে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
গত ৮ এপ্রিল প্রদর্শনী শুরু হয়। চলচ্চিত্রনির্মাতা গৌতম ঘোষ, চিত্রশিল্পী আওয়াসিম কাপুর, ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্র পাল, কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসে নিযুক্ত উপরাষ্ট্রদূতের স্ত্রী লামিয়া রহমান আহাদ, চিত্রশিল্পী সমির আইচ, শংকর ঘোষ, দেবব্রত চৌধুরী প্রমুখ এই প্রদর্শনীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গ্যালারিতে ৯৪টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।
যৌথ আয়োজনে ভারত-বাংলাদেশের ৫৪জন শিল্পী অংশ নেন। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দুই দেশের শিল্পীদের আঁকা ছবি দেখার সুযোগ পান দর্শকরা। আয়োজকদের অন্যতম চিত্রশিল্পী বিপ্লব গোস্বামী দ্য ডেইলি স্টারকে বললেন, যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর অর্থ হলো, আমাদের শিল্পসত্তার ঐক্য তৈরি করা এবং এর মধ্য দিয়েই দুই দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের মধ্যে শহিদ কবির, রনজিৎ দাস, আশরারুল হাসান, দুলাল গাইন, বিপ্লব গোস্বামী, কাজি শহিদ, কামাল উদ্দিন, মিন্টু দে ও লামিয়া আহমেদ এবং ভারতের রবিন মন্ডল, ধীরাজ চৌধুরী, ওয়াসিম ঘোষ, শঙ্কর ঘোষ, তপন মিত্র, দেবব্রত চক্রবর্তী, বিভূতি অধিকারী, তারক দাস, নির্মল দাস, অজিত শীল ছাড়াও অরুণ আগ্রির মতো চিত্রশিল্পীদের আঁকা ছবিও রয়েছে প্রদর্শনীতে।
Comments