শাপলা ফুল যখন জীবিকার উৎস
এ বছরের বর্ষার ভারী বৃষ্টিতে দেশের অনেক নিচু এলাকার কৃষিজমি পানিতে তলিয়েছে। এ দিক থেকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলাও ব্যতিক্রম না। কয়েক মাস হল উপজেলার বিল এলাকাগুলো পানিতে ডুবে রয়েছে। বিলের জমি জেগে ওঠার অপেক্ষায় থাকা এখানকার কৃষকরা এখন শাপলা ফুল থেকে আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন।
উপজেলার লাতব্দি ইউনিয়নে চর নিমতলার বিলের অবস্থান। সেখানে তাজের ইসলাম (৪৫) নামে একজনের সাথে কথা হয়। তিনি জানান, বছরের এই সময়টাতে শাপলা ফুলে ভরে থাকে বিলের পানি। মানুষ তাদের ইচ্ছামত ফুল তুলতে পারেন। সকাল থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত কাজ করলে ৪০ ‘মোঠা’ পর্যন্ত ফুল তোলা যায়। প্রতি মোঠায় ৬০টি ফুল থাকে। পাইকারি দরে ক্রেতারা এগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
সিরাজদিখানের রাসুনিয়া, ইমামগঞ্জ ও মিমতলা এলাকায় শাপলার বাজার বসে। এই বাজারগুলোতে পাইকারি দরে শাপলা কেনাবেচা চলে। এসব ফুলের একটি বড় অংশই চলে যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বাজারে।
দানিয়াপাড়া গ্রামের শাপলা ব্যবসায়ী চান মিয়া জানান, প্রতি দিন তিনি দুই হাজার মোঠা পর্যন্ত শাপলা কিনেন তিনি। প্রতি মোঠা শাপলা ১৫টাকায় কিনে পাইকারিভাবে ১৮ টাকায় বিক্রি করেন। আর যাত্রাবাড়ীতে মোঠাপ্রতি শাপলার দাম ২৭টাকায় পৌঁছায়।
সিরাজদিখান জুড়েই বিল এলাকাগুলোতে এখন ফুটে রয়েছে হাজারো সাদা শাপলা। মে থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত শাপলা সংগ্রহের কাজ চলে। বর্ষার দুর্দিনে বিল এলাকার অনেক মানুষেরই এখন একটু বাড়তি আয়ের ভরসা জাতীয় ফুল শাপলা।
Comments