শারমিনের বিজয়

ঝালকাঠির শারমিনের কথা কি মনে আছে? বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলো সাহসী সেই মেয়েটি। তার সেই সাহসের জন্য গত ৩০ মার্চ সে পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ওমেন কারেজ এওয়ার্ড।

ঝালকাঠির শারমিনের কথা কি মনে আছে? বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলো সাহসী সেই মেয়েটি। তার সেই সাহসের জন্য গত ৩০ মার্চ সে পেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ওমেন কারেজ এওয়ার্ড।

ঝালকাঠির সেই সাহসী মেয়েটি এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৩২ পেয়ে রাজাপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে উত্তীর্ণ হয়েছে।

নিজের এই ফল জানার পর, বাঁধ ভেঙেছে শারমিনের আনন্দ। সে বলেছে, “আমি আমার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ, এবং যাঁরা আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তাঁদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

“আমার মা আমাকে জোর করেই বিয়ে দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। পড়াশুনা প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিলো যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি।”

এই বাল্যবিবাহ ঠেকানোর জন্য এবং পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য, শারমিন তার মায়ের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় ২০১৫ সালের আগস্টের ১৭ তারিখে মামলা ঠুকে দেয়। এতে সাহায্য করেছিল তার এক সহপাঠী এবং একজন স্থানীয় সাংবাদিক। এরপর, শারমিন পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

সে আগামীতে আইনজীবী হয়ে নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করতে চায়।

রাজাপুর পাইলট হাই স্কুলের হেডমাস্টার গোলাম মোস্তফা বলেন, “শারমিন নিয়মিত পড়ালেখা করে। সে তরুণদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, বিশেষ করে দুর্গম এলাকার মেয়েদের জন্য।”

Comments