সাতক্ষীরায় দুই বাড়িতে ৭৭টি গোখরা সাপ!
দুদিনে সাতক্ষীরার দুটি বাড়িতে ৭৭টি গোখরা সাপ মারা হয়েছে। এ সময় সেখান থেকে সাপের ৫০টি ডিমও পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা সদরের বালুইগাছ গ্রামে ও বুধবার রাতে আশাশুনি উপজেলার বেউলা গ্রামের দুটি বাড়ি থেকে সাপগুলো মারা হয়।
সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বাইলুগাছা গ্রামের আব্দুল গাফফার খানদার জানান, তাঁর ভাই আব্দুস ছাত্তার খানদার একজন ভ্যানচালক। তিনি কাঁচাঘরে বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁদের মা রূপবান বিবি ঘরে কাজ করছিলেন। হঠাৎ একটি গোখরা সাপ তাঁর পায়ের উপর দিয়ে চলে গেলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এরপর তারা এসে সাপটি মেরে ফেলেন।
সাপটি প্রায় তিন ফুট বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও, রাত সাড়ে আটটার দিকে আরও একটি সাপ ঘরের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখেন তাঁর ভাই আব্দুস ছাত্তার। তিনি বাড়ির অন্য সদস্যদের ডেকে ওই সাপটি মেরে ফেলেন। এরপর দেখেন ঘরের মধ্যে চৌকির তলার একটি গর্ত। লাঠি, দা, শাবল, খুন্তি দিয়ে তাঁরা গর্ত খুঁড়তে শুরু করেন। ওই গর্তের নিচে তাঁরা একাধিক গর্ত দেখতে পান। সেসব গর্ত থেকে একে একে আরও ৫৪টি সাপ বের হয়ে আসে। তাঁরা সাপগুলো মেরে ফেলেন। সাপগুলো এক থেকে দেড় ফুট লম্বা। এই সাপ মারার অভিযান চলে রাত একটা পর্যন্ত।
এ সময় একটি গর্তের মধ্যে থেকে পাওয়া যায় ৫০টি সাপের ডিম। তারপর তাঁর ভাই অন্য ঘরে আশ্রয় নেওয়ার পাশাপাশি একটি জাল দিয়ে ওই ঘরটি ঘেরে রেখেছেন।
গাফফারের মতে, ওই গর্তের মধ্যে আরও সাপ রয়েছে। সাপ যাতে বের হয়ে যেতে না পারে সেজন্য জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। মেরে ফেলা সাপগুলো বাড়িতে দক্ষিণ পাশে পুঁতে ফেলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ দিকে, আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউপির বেউলা গ্রামের মকবুল সরদার জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁর কাঁচা ঘরের মেঝের একটি গর্ত থেকে একটি গোখরা সাপ বের হয়ে আসে। তিনি দেখতে পেয়ে সাপটি লাঠি দিয়ে মেরে ফেলেন। কিছুক্ষণ পর ঘরের মেঝেতে থাকা গর্তটি থেকে একে একে সাপ বের হতে থাকে।
এ খবর তিনি প্রতিবেশীদের জানালে তাঁরা এসে ১৯টি গোখরা সাপ মারেন। সাপগুলোর প্রায় দেড় ফুট করে লম্বা।
ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুস ছাত্তার খানদার ও মকবুল সরদারের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শোবার ঘরের দেয়ালে ২৭টি গোখরা সাপ!
Comments