হার্টের রোগীদের জন্যে সুখবর

হার্টের ব্লক ছাড়ানোর জন্যে ব্যবহৃত স্টেন্টের দাম নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতার অবসান হতে যাচ্ছে, যা হার্টের রোগীদের জন্য একটি সুখবর।
Stents

হার্টের ব্লক ছাড়ানোর জন্যে ব্যবহৃত স্টেন্টের দাম নির্ধারণ নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতার অবসান হতে যাচ্ছে, যা হার্টের রোগীদের জন্য একটি সুখবর।

স্টেন্টের দাম নির্ধারণের এই কাজ শুরু করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। নতুন দাম নির্ধারিত হলে অধিকাংশ স্টেন্টের মূল্য ২০ থেকে ৮০ শতাংশ কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ মূল্যহ্রাসের সম্ভাবনাও রয়েছে।

বাংলাদেশে ২১টি কোম্পানি ৪৭ ধরনের স্টেন্ট আমদানি করে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর প্রাথমিকভাবে ২৬ প্রকার স্টেন্টের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ স্টেন্টগুলো ১১টি কোম্পানি আমদানি করে থাকে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমরা স্টেন্টের নির্ধারিত দামের তালিকা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে পাঠিয়ে দিয়েছি। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) থেকেই এই তালিকা অনুসরণ করার জন্য জোরালো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

দাম নির্ধারণ নিয়ে “সরকারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি” সৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশ মেডিকেল ডিভাইস ইম্পোরটারস অ্যাসোসিয়েশন স্টেন্ট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার একদিন পর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর স্টেন্টের দাম নির্ধারণের কাজে হাত দেয়।

অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকের পর স্টেন্ট বিক্রি আবার শুরু করেন আমদানিকারকরা।

চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে, সরকারি হাসপাতালে একটি স্টেন্টের দাম পড়ে ৮০ হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা। বেসরকারি হাসপাতালে এই খরচ পড়ে দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো।

এদিকে, গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত সরকার স্টেন্টের দাম সর্বোচ্চ ৩০ হাজার রুপি নির্ধারণ করে দেওয়ায় বাংলাদেশের রোগীরা হৃদরোগের চিকিৎসার জন্যে ভারতমুখী হয়ে যাবেন বলে চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক এএসএম মুস্তাফা জামান বলেন, “নতুন দাম নির্ধারণের ফলে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের স্টেন্ট প্রতি ২০ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেঁচে যাবে।”

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আফজালুর রহমানের মতে, এর ফলে রোগীদের ঝামেলা যেমন কমবে তেমনি স্টেন্ট পছন্দ করার বিষয়ে তাঁদের স্বাধীনতাও থাকবে।

 

আরও পড়ুন:

ঝুঁকিতে হার্টের রোগীরা

Comments

The Daily Star  | English
Islami Bank's former managing director Abdul Mannan

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

7h ago