১৫ আগস্ট ঢাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকবে

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আগামী ১৫ আগস্ট রাজধানীতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কয়েকটি সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।
ওই দিন রাজধানীর সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে পান্থপথ হয়ে রাসেল স্কয়ার, সিটি কলেজ থেকে রাসেল স্কয়ার এবং ধানমন্ডি ২৭ থেকে রাসেল স্কয়ার পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।
এছাড়াও, একই দিনে বনানী কবরস্থান এলাকাতেও জোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনের পর রাসেল স্কয়ারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া আজ (১৩ আগস্ট) বলেন, “অন্যান্য বছরের মতো এবছরেও সারাদিন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এদিনকে কেন্দ্র করে নাশকতার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে নেই, তবুও যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যরা সতর্ক থাকবেন।”
তিনি আরও বলেন, “যেহেতু ভিভিআইপি, ভিআইপি এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ এ দিন ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে এবং বনানী কবরস্থানে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসবেন তাই এ দুটি স্থানে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিবেন।”
দুটি এলাকাই সিসিটিভির আওতায় থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দর্শনার্থীদের এসময় নিরাপত্তা আর্চওয়ে দিয়ে ট্রলি, ভেনিটি ব্যাগ, টিফিন ক্যারিয়ার, ব্যাকপ্যাক এবং কোন ধরণের বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে জাদুঘরে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
ভিভিআইপি, ভিআইপি এবং উচ্চ পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে আসবেন মেট্রো শপিং মলের পাশের রাস্তা দিয়ে এবং বের হবেন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-মিরপুর রোড-ধানমন্ডি ২৭ নং সড়ক দিয়ে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দল, সংগঠন এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ জাদুঘরে প্রবেশ করবেন ধানমন্ডি ৩২ নং সড়কের পশ্চিম পাশ দিয়ে।
ধানমন্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের কলাবাগান মাঠে অপেক্ষা করার জন্যে অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তাঁদের সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল এবং রোজী জামালসহ ১৬জন শহীদ হন। এই হত্যাকাণ্ড বিশ্বের ইতিহাসে একটি জঘন্যতম ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।
Click here to read the English version of this news
Comments