প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: ২২টি চুক্তি স্বাক্ষর
ভারতের নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের পর হাসিনা ও মোদির উপস্থিতিতে ২২টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এছাড়া খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস-২ ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর হিন্দি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সামরিক ক্ষেত্রে ৫০০ মিলিয়ন ডলারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে সহজ শর্তে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা, সড়ক ও রেল যোগাযোগ ও পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় ওঠার আশা করছেন দুই পক্ষই।
তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে নিয়ে নয়া দিল্লি আরও উদ্যোগী হবে, ক্ষীণ হলেও সেরকম একটি আশা শেষ পর্যন্ত ছিলো। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিস্তার প্রসঙ্গ আসলেও এ ব্যাপারে কোন চুক্তি হয়নি।
এর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যাবেন শেখ হাসিনা। সেখানে দুই নেতার সঙ্গে যোগ দিবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এর আগে হায়দরাবাদ হাউজে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে হাসিনাকে হায়দরাবাদ হাউজের ভেতরে নিয়ে যান তিনি। সেখানে লনে দাঁড়িয়ে দুই নেতাকে কিচ্ছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়। তাঁদের বৈঠকের পর দুই দেশের ডেলিগেট পর্যায়ের বৈঠক হবে।
আজ সকালে দিল্লির রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিন বাহিনী—সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপতি ভবনে অভ্যর্থনার পর মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। সেখান থেকে হায়দরাবাদ হাউজে বৈঠকে বসেন দুই নেতা।
Comments