ঘূর্ণিঝড় মোরায় ৭ জন নিহত

ঘূর্ণিঝড় মোরায় এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে চার জন ও রাঙ্গামাটিতে দুজন ও বান্দরবানে এক জন নিহত হয়েছেন। সেই সাথে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি।
কক্সবাজারে চার জনের মধ্যে তিন জন গাছের চাপায় ও এক জন একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আতঙ্কিত হয়ে মারা গেছেন। কক্সবাজারে নিহতদের মধ্যে একটি ১০ বছরের শিশুও রয়েছে। রাঙ্গামাটিতে দুজন ও বান্দরবানের লামায় এক জন গাছের চাপায় মারা গেছেন বলে আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। তবে সূর্যের মুখ দেখতে বুধবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরা মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ কুতুবদিয়া উপকূলে আঘাত করে। তবে আশার কথা হল ঘূর্ণিঝড়ে যতটা আশঙ্কা ছিল সে পরিমাণে সম্পদহানি হয়নি।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার জানান, গাছে চাপা পড়ে চকোরিয়ায় দুজন ও কক্সবাজারে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের পরিচয় সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। পরবর্তীতে সেখানে শাহিনা আক্তার নামে ১০ বছরের এক শিশু গাছে চাপা পড়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। দৈনিক প্রথম আলোর খবরে বলা হয়েছে নিহতরা হলেন, চকোরিয়ার রহমত উল্লাহ (৫০) ও সায়েরা খাতুন (৬০)। অপর দিকে মরিয়ম বেগম (৫৫) নামে একজন কক্সবাজারে সাইক্লোন সেন্টারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও সন্দ্বীপে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালা উপড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. চাহেল ও গোলাম মো. জাকারিয়া। সেন্টমার্টিন থেকেও ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালীতে ছয়টি ও কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফের সাথে দেশের অন্যান্য অংশের সড়ক ও টেলিফোন যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের পার্বত্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয় বলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (দক্ষিণ) সূত্রে জানা গেছে।
Comments