“আগুনে পুড়ে সব ছাই”

“খুব ছোট বেলায় এই এলাকায় এসেছিলাম। এই মার্কেটেই ১১ বছর পার করেছি। আমার সব সঞ্চয়, ব্যাঙ্ক ও সমিতির কিছু ঋণ – সব মিলিয়ে ২২ লাখ টাকা এই দোকানে খাটিয়েছিলাম। আজ সব শেষ।”
মিজানুর রহমানের মা সালেহা বেগম (৫৫)মুন্সিগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছিলেন গুলশানে, ছবি: শাহীন মোল্লা

“খুব ছোট বেলায় এই এলাকায় এসেছিলাম। এই মার্কেটেই ১১ বছর পার করেছি। আমার সব সঞ্চয়, ব্যাঙ্ক ও সমিতির কিছু ঋণ – সব মিলিয়ে ২২ লাখ টাকা এই দোকানে খাটিয়েছিলাম। আজ সব শেষ।”

ঢাকা (উত্তর) সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি) মার্কেটের একটি কসমেটিক দোকানের মালিক দিদার হোসেন এভাবেই নিজের দুঃখ প্রকাশ করছিলেন।

এই মার্কেটটিতে ৬০০ বেশি দোকান রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে সবগুলোই পুড়ে গেছে। ভোরের দিকে মার্কেটটির কাঁচাবাজারের অংশ ধসে পড়ে।

এদিকে, মার্কেটের দোকান মালিকরা আশঙ্কা করছেন আগুনের ঘটনাটি নাশকতামূলক।

“দোকানে আমার ২৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকার মালপত্র ছিল। একটি মালও সরাতে পারিনি। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন লাগার খবর পাই। তারপর ছুটে আসি। এসে দেখি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।”

এই প্রতিবেদককে দিদার জানান, তিনি মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন ১০ বছর বয়সে।

পাকা মার্কেটের স্পোর্টস কোয়ালিটি দোকানের মালিক মোহাম্মদ বিলাল হোসেন বলেন, “আমি শেষ হয়ে গেছি। আমার আর কোন কিছুই (অবশিষ্ট) নেই।”

গত রমজান মাসে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে একটি দোকান কিনেছিলেন মিজানুর রহমান। সেখানে একটি ক্রোকারি স্টোর খোলেন তিনি। দোকানে ২০ লাখেরও বেশি টাকার মালামাল ছিল। মার্কেটের যে অংশটি ধসে পড়েছে সেখানেই তার দোকান ছিল। ছেলের এমন বিপদের কথা শুনে মুন্সিগঞ্জ থেকে তার মা সালেহা বেগম (৫৫) ছুটে এসেছিলেন গুলশানে।

সালেহা বলেন, “যদি অন্তত দোকানটিও থাকতো, তবে হয়ত আমরা আবার নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারতাম। কিন্তু দোকানটিই ধসে পড়েছে, আর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে আমাদের পরিবারের ভবিষ্যত।”



Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago