“বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি সুভাষ বসু”

Netaji Subhas Chandra Bose
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, ছবি: ফাইল ফটো

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি, বরং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের এক জেলখানায় ব্রিটিশদের জিজ্ঞাসাবাদকালীন অত্যাচারে তিনি মারা যান, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক প্রাক্তন কর্মকর্তা তাঁর নতুন বইয়ে এমনটি দাবি করেছেন।

‘বোস: দ্য ইন্ডিয়ান সামুরাই – নেতাজি অ্যান্ড দ্য আইএনএ মিলিটারি অ্যাসেসমেন্ট’ (Bose: The Indian Samurai - Netaji and the INA Military Assessment) বইয়ে মেজর জেনারেল জি ডি বকশি দাবি করেন, “নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি। জাপানি গোয়েন্দা সংস্থা এই তত্ত্ব প্রচার করেছিল যাতে বসু নিরাপদে সোভিয়েত ইউনিয়নে চলে যেতে পারেন।”

বকশির দাবি, তাঁর কাছে ‘অকাট্য প্রমাণ’ রয়েছে যে নেতাজি ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইপে-তে বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি।

“দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে জার্মান বোমারু বিমানের হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তৎকালীন সোভিয়েত সরকার সাইবেরিয়াতে তাদের ঘাঁটি সরিয়ে নিয়েছিল। টোকিওতে সে সময়কার সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত জ্যাকব মালিকের সহযোগিতায় সুভাষ বসু সোভিয়েত ইউনিয়নে আজাদ হিন্দ সরকারের একটি দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়েছিলেন।”

এই প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার দাবি, “সুভাষ বসু জাপান থেকে পালিয়ে সাইবেরিয়ায় গিয়ে তিনটি রেডিও বার্তা প্রচার করেছিলেন। ব্রিটিশরা তখন জানতে পারে যে বসু সোভিয়েত ইউনিয়নে পালিয়ে গেছেন।”

“ব্রিটিশরা তখন বসুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চায়। সেই জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অত্যাচারে তাঁর মৃত্যু হয়।”

উল্লেখ্য, সুভাষ বসুর মৃত্যুর কারণ খোলাসা করার জন্য দুটি তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে নেতাজি ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইপে-তে বিমান দূর্ঘটনায় মারা যান। কিন্তু বিচারপতি এম কে মুখার্জির নেতৃত্বে গঠিত তৃতীয় কমিশন এটাকে চ্যালেঞ্জ করে জানিয়েছিল যে সুভাষ বসু বেঁচে ছিলেন।



Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English
10-bed ICU

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

10h ago