অপহরণ-চাঁদাবাজির মামলায় সাঁথিয়া ছাত্রলীগের সা. সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৫

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চাঁদাবাজি ও অপহরণের মামলায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গতকাল বিকেলে সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়রের কার্যালয় থেকে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ৫ জন হলেন- সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল খান সানা, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রুবেল, তাদের সহযোগী সন্দীপ কুমার, ইয়াসিন আলি ও মিলন হোসেন।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মো. সিদ্দিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার ৫ জন গতকাল সাঁথিয়া উপজেলার চরভদ্রকোলা গ্রামের হেলাল উদ্দিনকে ধরে এনে উপজেলা সদরের ডাক বাংলোর সামনে সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর ব্যক্তিগত অফিসে আটকে রেখে মারপিট করেন। এ সময় তার কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।'

ওসি আরও বলেন, 'ভুক্তভোগীর এক আত্মীয় বিষয়টি ৯৯৯-তে ফোন করে অভিযোগ জানান। অভিযোগেরভিত্তিতে সাঁথিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এবং সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে ওই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।'

'এ ঘটনায় হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারদের সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান,' বলেন ওসি।

মেয়রের ব্যক্তিগত অফিসে হেলাল উদ্দিনকে আটকে রাখার বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুল আলম বাচ্চু বলেন, 'আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। হেলালের সঙ্গে রুবেলের আত্মীয়কে বিদেশে পাঠানোর টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ ঘটনায় এর আগেও সালিস হয়েছে। তবে, আমার অফিসে ধরে আনার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না।'

সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শামছুল হক স্বপন বলেন, 'হাসিবুল খান সানা এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল। তখন তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে সে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তবে, এবার যে ঘটনা ঘটেছে তা ষড়যন্ত্র। রাজনীতি করলে অনেক পক্ষ-বিপক্ষ থাকে। তাই আমি মনে করি এটা ষড়যন্ত্র।'

পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগ নেতা তাজুল ইসলাম বলেন, 'বর্তমানে জেলা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। গতকাল সাঁথিয়া উপজেলা ছাত্রলীগে নেতা যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমরা ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানিয়েছি। পরবর্তী ব্যবস্থা কেন্দ্র থেকে নেওয়া হবে।'

উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল খান সানাকে ২০২০ সালেও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হন। সে সময় তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী হেলাল উদ্দিনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

A transitional budget for troubled times

Govt signals people-centric priorities but faces tough trade-offs

2h ago