অর্থ পাচার মামলায় সম্রাটের জামিন শুনানি ১১ আগস্ট

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা ২২২ কোটি টাকা পাচার মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ১১ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে সম্রাট আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আজ তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি। তার আইনজীবী সংশ্লিষ্ট নথি উপস্থাপন করে জামিন চাইলে আদালত আগামী ১১ আগস্ট শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
আদালত এদিন সম্রাটের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আদেশ দেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সম্রাট।
২০১১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার ক্যাসিনোতে প্রায় ২২২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও তা পাচার করার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় গত ১১ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ সম্রাটকে জামিন দেন। এর আগে শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে মানি লন্ডারিং, অস্ত্র ও মাদক মামলায়ও আদালত সম্রাটকে জামিন দেন।
এরপর সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ মে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বাতিলের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তাকে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
গত ২৪ মে সম্রাট আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) জাহাঙ্গীর আলম রাজধানীর অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার 'মূলহোতা' হিসেবে সম্রাটের বিরুদ্ধে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
Comments