আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিককে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

রাকিবুল ইসলাম উজ্জ্বল। ছবি: সংগঠিত

সাভারের আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে পোশাক শ্রমিক রাকিবুল ইসলাম উজ্জ্বলকে (২৪) রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে একই এলাকার কয়েকজন যুবক। তাকে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হলে গতকাল সোমবার ভোররাতে মারা যান তিনি।

মারধরের ঘটনায় গত শনিবার নিহতের বড়ভাই সুজন মিয়া ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে আসামিদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু মণ্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাকিবুল ইসলাম উজ্জ্বল বগুড়ার সাড়িয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবসাই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি ডিইপিজেড'র একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে কয়েকজন বখাটে তাকে রড পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।'

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজু মণ্ডল আরও বলেন, 'এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই সুজন মিয়া বাদী হয়ে হামলার অভিযোগ এনে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামিদের বয়স ১৮ বছরের উপরে। মামলাটি হত্যা মামলায় স্থানান্তর করা হবে। আসামিদের নাম-ঠিকানা বাদী সঠিকভাবে দিতে পারেননিও। এলাকার লোকজন আসামিদের তথ্য দিচ্ছেন না। তাই আসামিদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।'

'আশা করছি খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবো,' যোগ করেন তিনি।

নিহতের মামা বিপুল হোসেন ডেইলি স্টারকে জানান, বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার জুয়েল, সুমন, শাহিদুল, বিল্লালসহ কয়েকজন যুবকের সঙ্গে উজ্জ্বলের বিরোধ ছিল। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা উজ্জ্বলকে বাসা থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে রাস্তার ওপর রড দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।'

মামলার বাদী ও নিহতের বড়ভাই সুজন বলেন, 'আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে পুলিশ তাদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago