চালকের লাইসেন্স-ফিটনেসবিহীন ৭ টন ধারণ ক্ষমতা ট্রাকের ওজন ছিল ১৩.৫ টন
ময়মনসিংহের ত্রিশালে মহাসড়কে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে বাবা-মাসহ এক সন্তানের মৃত্যু ও অলৌকিকভাবে এক শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ঘাতক ট্রাকচালক রাজু আহমেদ শিপনের ভারী যানবাহন চালানোর বৈধ লাইসেন্স ছিল না। মধ্যম সারির গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও তা ২০১৬ সালে হারিয়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মইন জানান, রাজু গত ৬-৭ মাস থেকে শতকরা ১০ শতাংশ কমিশনে ট্রাকটি চালাচ্ছিলেন। গাড়িটিতে সবসময় কাঁচামাল পরিবহন করা হত। গাড়িটির বর্তমান ট্যাক্স টোকেন এবং ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ উত্তীর্ণ।
খন্দকার আল মইন জানান, গাড়িটির ধারণ ক্ষমতা ৭ টন হলেও দুর্ঘটনার সময় গাড়িটির ওজন ১৩ দশমিক ৫ টন ছিল বলে জানা যায়। রাজু ২০০২ সালে যশোরের এক ট্রাক ড্রাইভারের হেলপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুর্ঘটনার শিকার হয়। উক্ত দুর্ঘটনায় তার বাম পা মারাত্মকভাবে জখম হওয়ার ফলে সে প্রায় ৬ বছর গাড়ি চালায়নি। তার এখনো বাম পায়ে সমস্যা রয়েছে। বিগত ১০ বছর ধরে সে নিয়মিত বিরতিতে ট্রাক চালাচ্ছে।
রাজুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন, তিনি যোগ করেন।
Comments