নাম পেয়েছে ছোটমণি নিবাসে ঠাঁই পাওয়া ত্রিশালের সেই শিশুটি
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় মায়ের মৃত্যুর আগ মুহূর্তে জন্ম নেওয়া শিশুটির ঠাঁই হয়েছে রাজধানীর আজিমপুরে অবস্থিত হতভাগ্য ও পরিত্যক্ত শিশুদের পুনর্বাসন কেন্দ্র ছোটমণি নিবাসে।
আজ শুক্রবার সেখানে শিশুটিকে বুঝে নেন সমাজসেবা অধিপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও ছোটমণি নিবাসের তত্ত্বাবধায়ক জুবলী রানু।
কামরুল ইসলাম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শিশুটির বড় বোন জান্নাতুল, দাদা মোস্তাফিজুর রহমান ও ময়মনসিংহের সমাজসেবা কর্মকর্তা শিশুটিকে নিয়ে বিকেল ৩টার দিকে ছোটমণি নিবাসে পৌঁছান।
এখানে এসে শিশুটি একটি নামও পেয়েছে বলে জানান কামরুল। বলেন, 'বোন জান্নাতুল শিশুটির নাম রেখেছে ফাতিমা।'
এর আগে আজ সকাল ১১টার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকার পথে রওনা হন শিশুটির দাদাসহ অন্যরা।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ জানান, বুধবার জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের এক সভায় শিশুটির দাদা মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্য স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, শিশুটিকে লালন-পালনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় লোকবল তাদের নেই। এ অবস্থায় তাদের মতামত নিয়েই শিশুটিকে ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ময়মনসিংহ জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, শিশুটির চিকিৎসাসহ ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের একাধিক সভায় আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১৬ জুলাই ত্রিশাল উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মারা যান শিশুটির বাবা জাহাঙ্গীর আলম (৪২), মা রত্না বেগম (৩২) এবং এ দম্পতির ৩ বছর বয়সী মেয়ে সানজিদা। ওই সড়ক দুর্ঘটনার সময় সড়কেই শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
হাত ভেঙে যাওয়া শিশুটিকে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে জন্ডিসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ১৯ জুলাই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
Comments