জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন সারওয়ার আলম

সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সারওয়ার আলম। ছবি: সংগৃহীত

মানি লন্ডারিং মামলায় বিতর্কিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) তৎকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

আজ বুধবার ঢাকার একটি আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সরোয়ার জবানবন্দিতে আদালতকে বলেছেন, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তার নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাসায় অভিযান পরিচালনা করেন। সেখান থেকে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষী মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সারওয়ার তার জবানবন্দিতে বলেছেন, তার উপস্থিতিতে র‌্যাবের দলটি ওই বাড়ি থেকে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার মার্কিন ডলার এবং ৭৫২ সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার এবং কিছু বিদেশি মদের বোতল জব্দ করে।

বিচারক মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯ জুন দিন ধার্য করেন।

২০২০ সালের ১০ নভেম্বর শামীমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।

২০২০ সালের ৬ আগস্ট জি কে শামীমসহ বাকিদের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট জমা দেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সংগঠিত অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিটের অতিরিক্ত বিশেষ সুপারিনটেনডেন্ট আবু সাঈদ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাঈদ অভিযোগপত্রে বলেছেন, শামীমের বিভিন্ন ব্যাংকে ১৮০টি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে ৩৩৭.৩ কোটি টাকা, রাজধানীতে দুটি বাড়ি এবং ৪১ কোটি টাকা মূল্যের ৫২ কাঠা জমি রয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা শামীম সরকারি দপ্তরে টেন্ডারবাজি এবং বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছেন।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বিভিন্ন স্থানীয় ব্যাংকে শামীমের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৫৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে যার বেশিরভাগ লেনদেন হয়েছিল।

 

Comments

The Daily Star  | English

US strikes on Iran: what you need to know

Trump said the United States struck three main Iranian nuclear sites: Fordo, Natanz and Isfahan, with the former being hit with a "full payload of bombs."

1h ago