অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমের ১০ বছর কারাদণ্ড
সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের মামলায় ঢাকার একটি আদালত বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
একই সঙ্গে জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষী- মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আমিনুল ইসলামকে অর্থপাচারে সহায়তা করায় ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ আদালত-১০-এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম আদালতে জি কে শামীমসহ ৮ জনের উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন।
রায়ে বিচারক বলেন, প্রসিকিউশন জি কে শামীম ও অন্যদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের এ ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বিচারক তাদের প্রত্যেককে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন, অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এর আগে, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করে এবং বিচারক এ পর্যন্ত মামলার অভিযোগকারীসহ প্রসিকিউশনের ২৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
২০২০ সালের ১০ নভেম্বর একই আদালত এই মামলায় জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট চার্জশিট জমা দেয়।
অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সংগঠিত অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিটের অতিরিক্ত বিশেষ সুপার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ অভিযোগপত্রে বলেন, শামীমের বিভিন্ন ব্যাংক, দুটি বাড়িতে ১৮০টি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে ৩৩৭ দশমিক ৩ কোটি টাকা রয়েছে। রাজধানীতে ৪১ কোটি টাকা মূল্যের ৫২ কাঠা জমি আছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, শামীম সরকারি দপ্তরে টেন্ডারবাজি এবং বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছেন।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা শামীমকে চাঁদাবাজি ও টেন্ডার কারসাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করা হয় তার দেহরক্ষীদেরও। পরে শামীমের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র্যাব।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার আরেকটি ট্রাইব্যুনাল।
Comments