তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় আসিফের বিচার শুরু

আসিফ আকবর। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল

গীতিকার ও সুরকার শফিক তুহিনের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে আসিফের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত।

এ মামলায় বর্তমানে জামিনে রয়েছেন আসিফ আকবর।

২০১৮ সালের ৪ জুন আসিফের নামে মামলা করেন শফিক। মামলার এজাহারে শফিক বলেছেন, ২০২০ সালের ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর 'সার্চ লাইট' নামের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায়, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করে দিয়েছেন।

পরে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানা যায়, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্ট এর চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।

এজাহারে আরও রয়েছে, পরে ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে শফিক তুহিন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির সেই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন।

পরের দিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। মোট ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন।

এজাহারে শফিক তুহিন আরও উল্লেখ করেন, বিষয়টি সংগীতাঙ্গনের সুপরিচিত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার প্রীতম আহমেদসহ অনেকেই জানেন।

Comments

The Daily Star  | English
rickshaws banned on Dhaka's main roads

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

53m ago