নেদারল্যান্ডসে গাছে পানি দিতে যাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা, বন্ধ চেয়ে রিট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

চলমান বৈশ্বিক সংকটে অপ্রয়োজনীয় সরকারি সফর বন্ধে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকালে হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করা হয়।

বরিশালের বাসিন্দা এএসএম আল সনেট এই আবেদন করে। রিটে বিচার বিভাগীয় তদন্তও চাওয়া হয়েছে।

রিটের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সারা পৃথিবীব্যাপী সংকটের কারণে গত ১২ মে বিদেশে অপ্রয়োজনীয় সফর বন্ধে সরকার নির্দেশনা দিয়েছে। তারপরও বিভিন্ন ফাঁক-ফোকর দিয়ে যে যেভাবে পারছেন, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশে যাচ্ছেন। এটা থামানোর জন্য আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।

কৃষিমন্ত্রী ব্যক্তিগত সচিব একটি জিও (সরকারি আদেশ) করিয়েছেন, একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে বিদেশে যাচ্ছেন। এটা একটা ফ্রড্যুলেন্ট প্র্যাকটিস। একজন মন্ত্রীর সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিগত সচিব যখন বিদেশে যাবেন বা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সফরে যাবেন, তখন তিনি অবশ্যই সেই পরিচয়েই যাবেন। অথচ তিনি জিও করিয়েছেন, একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে। আমরা দুর্নীতি দমন কমিশনকেও বলেছি, আদালত যদি আমাদের রিট আমলে নেন তাহলে যেন তদন্তের ব্যবস্থা করেন।

বিদেশে সফর বন্ধের প্রজ্ঞাপনের পরও ৩০টি জিও হয়েছে। এর মধ্যে ১১৪ জন কর্মকর্তা যাচ্ছেন বিদেশে। আপনারা আশ্চর্য হবেন জেনে, নেদারল্যান্ডসে মেলায় যাবেন কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে। কিছু লোক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মেলায় গাছে পানি দেওয়ার জন্য। এটা মকারি। পৃথিবী স্বাভাবিক থাকলে মেনে নেওয়া যেত, যেখানে আমরা এমন সংকটে সেখানে প্লেজার ট্রিপ বন্ধ হওয়া দরকার।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আগামীকাল রিট আবেদনটি আদালতের কার্য তালিকায় উঠতে পারে।

রিট আবেদনের উল্লেখ করে আইনজীবী আরও জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ১০০ কর্মকর্তা ইতোমধ্যে 'ফ্লোরিডা এক্সপো ২০২২' পরিদর্শন করেছেন। নেদারল্যান্ডের আলমেয়ারে অনুষ্ঠানরত এই আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার প্রদর্শনীতে কিছু কর্মকর্তা তাদের স্বামী বা স্ত্রীসহ সফর করেছেন কেউ কেউ অন্য দেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও শেনজেন অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করেছেন।

সরকার কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর নিষিদ্ধ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
 

 

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

27m ago