প্রতারণা মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

হেলেনা জাহাঙ্গীর। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার পল্লবী থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

অন্য ৪ জন হলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের আইপিটিভি জয়যাত্রা টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক হাজেরা খাতুন, টেলিভিশনের সমন্বয়ক সানাউল্লাহ নূরী, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজুর রহমান।

অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন তাদের কাছে অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর জামিনে থাকা হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ অন্য ৪ জন নিজেদের নির্দোষ বলে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

দিনের শুরুতে ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য দাখিল করা ৫টি পৃথক আবেদন খারিজ করে দেন।

মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৫ মে দিন ধার্য করেন ম্যাজিস্ট্রেট।

গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হেলেনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম।

ভোলা জেলা প্রতিনিধি আবদুর রহমান তুহিন গত বছরের ২ আগস্ট পল্লবী থানায় হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে রহমান কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের ২৯ জুলাই গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে হেলেনাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

র‌্যাব জানায়, অভিযানে বিপুল পরিমাণ মদ, হরিণের চামড়া, ওয়াকিটকি, বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়।

তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন এবং টেলিযোগাযোগ আইনে গুলশান ও পল্লবী থানায় আরও পাঁচটি আলাদা মামলা করা হয়।

পরে আদালত থেকে জামিন পেয়ে গত বছরের নভেম্বরে কারাগার মুক্তি পান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago