মায়ের সঙ্গে থাকবে ২ সন্তান, জাপানে যেতে পারবে না: সুপ্রিম কোর্ট

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফ ও জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানো। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফ ও জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানো। ছবি: সংগৃহীত

জাপান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা নাকানো জেসমিন মালিকা (১২) ও নাকানো লায়লা লিনা (১০) তাদের মা জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকোর হেফাজতেই থাকবে তবে জাপানে যেতে পারবে না বলে আগের নির্দেশনাই বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাদের বাবা, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফ জাপান থেকে তাদের বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চ রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এছাড়া আপিল বিভাগ গত মাসে এরিকো ও ইমরানের করা দুটি আদালত অবমাননার আবেদনসহ তিনটি পৃথক আবেদনও খারিজ করে দেন।

এক পিটিশনে, এরিকো তার সন্তান জেসমিন মালেকা এবং লায়লা লিনাকে জাপানে গ্রীষ্মের ছুটি উপভোগ করার জন্য নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ আদালতের অনুমতি চেয়েছিলেন এবং অন্য পিটিশনে, তিনি ইমরান শরীফের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে বলেছেন যে ইমরান আদালতেরর নির্দেশ উপেক্ষা করে তার সন্তানদের নিয়ে গেছেন।

অন্যদিকে ইমরান তার পিটিশনে এরিকোর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে বলেছেন যে এরিকো তাকে তার মেয়েদের সাথে দেখা করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছেন যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের লঙ্ঘন।

ইরিকোর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন এবং আইনজীবী আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ শিশির মনির এবং ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আখতার ইমাম, আইনজীবী রাশনা ইমাম ও কামাল হোসেন।

এই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, সুপ্রিম কোর্ট ইমরান শরীফের জেসমিন এবং লায়লাকে আটকে রাখা অবৈধ ঘোষণা করে এবং নির্দেশ দেন যে ইমরানের করা মামলাটি ঢাকার সংশ্লিষ্ট পারিবারিক আদালত নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত তারা তাদের মা নাকানো এরিকোর হেফাজতে থাকবে।

আদালত তার আদেশে জানান, ইমরান এরিকোর সাথে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুবিধাজনক সময়ে সন্তানদের সাথে দেখা করতে পারেন।

আপিল বিভাগের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে তিন মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে পারিবারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

8h ago