স্টাম্প দিয়ে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে

উৎপল কুমার সরকার। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

সাভারের আশুলিয়ায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে (৩৫) পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ইনচার্জ ইউসুফ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আজ ভোর সোয়া ৫টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিক্ষক উৎপল কুমার মারা যান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নিহত শিক্ষক উৎপল সরকার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায় থানার এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী একই প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা প্রতিবছর ছেলেদের ফুটবল ও মেয়েদের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করি। এবারও এই আয়োজন করা হয়েছিল। গত শনিবার মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। সেসময় প্রতিষ্ঠানের ২ তলা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছেলেরা খেলা দেখছিল। ওই শিক্ষার্থীও সেখানে ছিল।'

'সকাল থেকেই তার হাতে স্টাম্পটি ছিল বলে জানতে পেরেছি' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ সে ২ তলা থেকে নেমে মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক উৎপলকে স্টাম্প দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে।'

'পরে তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আজ ভোর সোয়া ৫ টার দিকে তিনি মারা যান।'

'নিহত শিক্ষক আমাদের প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ছাত্রদের আচরণগত সমস্যা নিয়ে তাকে কাউন্সেলিং করতে হতো। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিচারও তিনিই করতেন,' যোগ করেন তিনি।

নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মেয়েদের ইভটিজিংসহ নানান শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে শাসন করায় ওই ছাত্র আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এর উপযুক্ত বিচার চাই।'

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) এমদাদুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

A transitional budget for troubled times

Govt signals people-centric priorities but faces tough trade-offs

2h ago