স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগে এএসআই বরখাস্ত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশের এএসআই মো. বাবুল হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশের এএসআই মো. বাবুল হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. বাবুল হোসেন (৩৫) ভাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন।

তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগে নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার বাসিন্দা ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী পাপ্পু বিশ্বাস গত বুধবার একটি মামলা করেন।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ৭ জুলাই ভাঙ্গা বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১১০ ভরি স্বর্ণ কেনেন পাপ্পু বিশ্বাস। বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভাঙ্গা বাজারে তার পথ রোধ করেন ভাঙ্গা থানার এএসআই মো. বাবুল হোসেন ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান।

পাপ্পুর কাছে থাকা স্বর্ণ 'অবৈধ' উল্লেখ করে এএসআই বাবুল তা ছিনিয়ে নেয়। কাগজপত্র দেখানোর পর তিনি ৪০ ভরি স্বর্ণ রেখে বাকিটা ফেরত দেন।

এ ঘটনার ৬ দিন পর পাপ্পু বিশ্বাস বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় গত বুধবার মামলা করেন। মামলায় এএসআই বাবুল ও তার সহযোগী মেহেদীকে আসামি করা হয়।

সেদিনই এএসআইসহ ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় ভাঙ্গা থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এএসআই বাবুল হোসেনের বাসা থেকে ছিনতাই হওয়া স্বর্ণ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহমিদা কাদের চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলায় গ্রেপ্তারের পর এএসআই বাবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।'

পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, 'তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার এএসআইকে আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।'

Comments