ফরিদপুর

১২টি চোরাই মোটরসাইকেল ও ৫০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১

ফরিদপুরে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ সময় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
পুলিশের জব্দ করা চোরাই মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ সময় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কবিরপুর গুচ্ছগ্রাম থেকে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ সাহেব আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৫০০টি ইয়াবা জব্দ করা হয়।'

'পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী- নর্থ চ্যানেলের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৭টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ মোট ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।'

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, 'ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় যে কয়জন তালিকাভুক্ত মোটরসাইকেল চোর আছে তাদের মধ্যে সাহেব আলী অন্যতম। এই চক্র ১ মিনিটের মধ্যে মাষ্টার কী ব্যবহার করে মোটরসাইকেলের লক খুলে চুরি করে পালিয়ে যায়।'

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, 'সাহেব আলীর বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থানায় মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে ২টি আছে।'

তিনি আরও বলেন, 'সাহেব আলীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি ও মোটরসাইকেল চুড়ির অভিযোগে নতুন করে ২টি মামলা হয়েছে। মাদক মামলায় একা সাহেব আলীকে আসামি করা হয়েছে। মোটরসাইকেল চুরির মামলায় সাহেবের সঙ্গে পলাতক আসামি হিসেবে সাদ্দাম, শহীদুল ও সিদ্দিককে আসামি করা হয়েছে।'

মামলা ২টির তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিয়াদুজ্জামান বলেন, 'বিকেলে সাহেব আলীকে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সাহেব আলীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।'

Comments