১৪ মাস পরে বাড়ি ফেরা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যা

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

প্রাণ ভয়ে প্রায় ১৪ মাস পর বাড়িতে ফিরেও বাঁচতে পারলেন না রাঙ্গামাটির এক আওয়ামী লীগ নেতা। রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার নিজ বাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতা নেথোয়াই মারমাকে (৫৮) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেন বলেন, 'প্রায় ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারী মধ্য রাতে কাপ্তাইয়ের আগাপাড়া এলাকায় নেথোয়াইয়ের বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং তাকে গুলি করে হত্যা করে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা তার মরদেহ উদ্ধার করেছি। এটি অবশ্যই একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। কারা তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে কেউ কথা বলতে চায়না। আমরা বিস্তারিত জানতে তদন্ত করছি।'

কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুচাইন চৌধুরী বলেন, 'নেথোয়াই ছিলেন চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং দল থেকে মনোনীত কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী।'

তিনি আরও বলেন, 'ভয়ের কারণে নেথোয়াই গত ১৪ মাস ধরে বাড়ির বাইরে ছিলেন।'

তিনি আরও বলেন, '১৪ মাস পর তিনি গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তার বাড়িতে যান। কিন্তু দুষ্কৃতিকারীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।'

অংসুচাইন এই হত্যার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতিকে দায়ী করেন।

পিসিজেএসএস-এর ছাত্র শাখা পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিপুন ত্রিপুরা বলেন, 'আওয়ামী লীগ তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণেই নেথোয়াইকে হত্যা করেছে।'

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাপ্তাই উপজেলার কারিগর পাড়া এলাকায় পিসিজেএসএস-এমএন লারমা দলের এক সদস্য এবং তার বন্ধুকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কাপ্তাইয়ের হেডম্যান পাড়া এলাকায় স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই বছরের অক্টোবরে কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী কারিগর পাড়ায় গুলি করে হত্যা করা হয় অপর স্থানীয় এক বাসিন্দাকে এবং নভেম্বরে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াজ্ঞা ইউনিয়নের গর্জনিয়া এলাকায় অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে ২ জন নিহত হন।

গত আগস্টে কাপ্তাই উপজেলার কুকিমারা মারমা পাড়া এলাকায় ৬৫ বছর বয়সী একজন পাহাড়ি কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Healthcare reform begins, service yet to improve

The health administration initiated a series of reforms to improve medical care but struggled to implement them, say health experts

8h ago