আকাশপথে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ধীরগতি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিকল থাকায় আকাশপথে দেশের বাইরে গার্মেন্টস পণ্যের চালান পাঠানোর গতি কমে গেছে।
একটি ইডিএস গত মে মাস থেকে অকেজো অবস্থায় আছে। অন্যটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকল হলেও, গত শনিবার রাতে আংশিকভাবে কাজ করতে শুরু করে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান জানান, এই মুহূর্তে ২টি ইডিএস অকার্যকর থাকায় শুধু ডগ স্কোয়াডের কুকুর দিয়ে মালপত্র স্ক্যানের কাজ করা হচ্ছে। কুকুরগুলো দৈনিক সর্বোচ্চ ১১০ টন পণ্য স্ক্যান করতে পারে। ২টি ইডিএস দৈনিক স্ক্যান করতে পারে ৮০০ টন পণ্য।
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় রপ্তানিকারকদের ১৪ অক্টোবরের মধ্যে বিমানবন্দরে নতুন ২টি ইডিএস বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিজিএমইএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্ক্যানার নষ্ট থাকায় গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানি বিঘ্নিত হচ্ছে।
বিজিএমই'র নেতারা গত শনিবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন এবং ইডিএসগুলো সার্বক্ষণিক সচল রাখার অনুরোধ জানান।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান জানান, ইডিএসগুলো মেরামতের কাজ চলছে।
বিজিএমইএ'র বিবৃতির সূত্রে জানা যায়, সভাপতি ফারুক স্ক্যানিং প্রক্রিয়া দ্রুততর করার জন্য আরো স্ক্যানার বসানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বিজিএমইএ নেতারা গতকাল কর্তৃপক্ষকে বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গাটি আরো বড় করার জন্য অনুরোধ করেন। এতে মালপত্রের স্ক্যান প্রক্রিয়া নিয়মতান্ত্রিক ভাবে শেষ করে দ্রুত সেগুলো রপ্তানি করা যাবে।
এ ছাড়া, বর্তমান ব্যবস্থা নিয়মতান্ত্রিক নয় এবং এতে সময় বেশি লাগছে বলে উল্লেখ করেন তারা।
অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান
Comments