‘আমাদের সন্তানদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনুন’

ইউক্রেনের একটি বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পর বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) প্রধান কার্যালয়ে ভিড় জমিয়েছেন জাহাজে আটকে থাকা নাবিকদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য। জাহাজে থাকা নাবিকদের অবস্থান জানতে তারা বিএসসি কার্যালয়ে আসেন।
নাবিকদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
অন্তত ৩ জন নাবিকের পরিবারের সদস্যদের দেখতে পাওয়া যায় বিএসসি অফিসে অপেক্ষা করছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে তাদের প্রিয়জনের ফিরিয়ে আনতে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তা জানার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
জাহাজটির ক্রুম্যান মাসুম বিল্লাহের বাবা ৬০ বছর বয়সী ওবায়দুল হক আজ ভোররাত ৩টায় ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছেলের ভয়েস মেসেজ পেয়ে আর ঘুমাতে পারেননি।
তিনি বলেন, 'ভয়েস মেসেজে আমার ছেলে হামলার কথা বলছিল এবং তাদের জন্য দোয়া করতে বলছিল।'
উদ্বিগ্ন ওবায়দুল জানান, মেসেজ পেয়ে বারবার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন তিনি।
২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনীয় বন্দরে থাকা জাহাজটি থেকে তার ছেলে প্রতিদিনই মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমে কথা বলতেন। তার ছেলে জানিয়েছিলেন, সব নাবিকই নিরাপদে রয়েছে। তবে গতকালের হামলার পরে সবাই বদলে যায়।
সব নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান ওবায়দুল।
তার ছয় সন্তানের মধ্যে মাসুম বিল্লাহ তৃতীয়। ২ বছর আগে মাসুম এই পেশায় যোগ দেন এবং গত জানুয়ারিতে জাহাজে ওঠেন।
জাহাজটিতে কর্মরত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমানের খোঁজ জানতে বিএসসিতে এসেছেন পল্লী বিদ্যুতে কর্মরত তার ভায়রা আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এক নাবিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাহবাড়িতে বসবাসরত মাসুদুরের বৃদ্ধ বাবা-মা খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
Comments