আরএসএফ’র প্রতিবেদন বিদ্বেষপ্রসূত: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। ছবি: সংগৃহীত

আরএসএফ প্রকাশিত বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক বিদ্বেষপ্রসূত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশের অবস্থান গত বছরের তুলনায় ১০ ধাপ পিছিয়েছে। সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম (স্কোর ৩৬ দশমিক ৬৩)।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেসব সূত্র থেকে তারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এবং নিজেরাও বাংলাদেশের প্রতি বিদ্বেষপ্রসুত হয়ে যে রিপোর্ট দেয় সেটি প্রমাণিত। তারা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে বলেছে। যখন ডিজিটাল বিষয়টি ছিল না তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টিও ছিল না। যখন ডিজিটাল বিষয়টি এসেছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ডিজিটাল হয়েছে, তখন গণমানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার বিভিন্ন দেশ আইন করেছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই আইন হয়েছে এবং হচ্ছে। বাংলাদেশ যেহেতু উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে প্রথম দিকে ডিজিটাল হয়েছে, তাই আমাদের দেশেও এই আইন হয়েছে। এই আইন সব মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য।

বৈশ্বিক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এই আইনের সুযোগ গ্রহণ করে অনেক সাংবাদিক তাদের বিরুদ্ধে মানহানীকর অনেক কিছু করার জন্য মামলা করেছে। নিশ্চয়ই এই আইনের অপব্যবহার হওয়া উচিত না কারো বিরুদ্ধে; সাংবাদিক হোক, সাধারণ মানুষ হোক। কারো বিরুদ্ধে এই আইনের অপপ্রচার হওয়া উচিত না, সেটি আমরা সতর্ক আছি। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০১৮ সিঙ্গাপুরে করা হয়েছে। ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট, ২০০০ ভারতে করা হয়েছে। দ্য প্রিভেনশন অব ইলেকট্রনিক্স ক্রাইমস অ্যাক্ট, ২০১৮ পাকিস্তানে করা হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০১৫ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি ল' অ্যান্ড রেভুলেশন, ২০২২ অস্ট্রেলিয়ায় করা হয়েছে; যদিও অস্ট্রেলিয়াতে আরও আগের আইন ছিল, সেই আইনটি ২০২২-এর হালনাগাদ করা হয়েছে। আরও কঠিন আইন করা হয়েছে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০১৮ এর যেসব ধারাগুলো নিয়ে বাংলাদেশে আলোচনা হয়, কেউ কেউ সমালোচনাও করেন, সেই ধারাগুলো ভারত-পাকিস্তানসহ অন্যান্য যেসব দেশে আইনগুলো হয়েছে, সেখানে অনুরূপ ধারা সন্নিবেশিত আছে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই মার্চ মাসে একটি ফ্রেমওয়ার্ক ল' করছে যার অধীনে বিভিন্ন দেশে আইন করা হবে। ফ্রান্সেও একই ধরনের আইন আছে, সুতরাং তারা যে বাংলাদেশকে কয়েক ধাপ নামিয়ে দিলো; তারা বাংলাদেশের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত হয়েই এটা করেছে। আমরা রিপোর্টটা প্রত্যাখ্যান করছি, এর সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নই—বলেন তথ্যমন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্ভবত অন্য গ্রহে বসবাস করেন বা তার মাথায় অন্য দেশ ঘুরপাক খায়। এ দেশে করোনা মহামারির পর যেভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশের মানুষ ঈদ করেছে সেটি অভাবনীয়। শুধু তাই নয়, এ বছর বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে কেনাকাটা করেছে, সব ব্যবসায়ীরা প্রচণ্ড খুশি এবং দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। এবার ঈদযাত্রা অনেকটা ভোগান্তিহীন ছিল, সে জন্যও মানুষ খুশি ছিল। মানুষের মধ্যে এখনো সেই খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে কথাগুলো বলছেন, মনে হচ্ছে তিনি বাস্তবতা থেকে বহু দূরে কিংবা তিনি অন্য গ্রহে বসবাস করে এসব কথা বলছেন। আমার মনে হয়, উনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো দরকার। উনার তো বয়স হয়েছে, বয়স হলে অনেক ধরনের আবোল তাবোল কথা মানুষ বলে। তাদের চিকিৎসকদের যে সংগঠন আছে, ড্যাবে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা করা ভালো হবে।

Comments

The Daily Star  | English
new covid 19 cases in Bangladesh

10 Covid-19 cases reported in 24 hours

At least 10 people out of 101 tested positive for Covid-19 in the 24 hours before 8:00am today

1h ago