আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে যোগ হলো ফেরি ‘কলমি লতা’

আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে সংকট নিরসনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথ থেকে আনা হয়েছে মাঝারি আকারের ফেরি 'কলমি লতা'। আজ সোমবার সকালে ফেরিটি মানিকগঞ্জের আরিচা ফেরিঘাটে পৌঁছায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ আজ সোমবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি সংখ্যা হলো তিনটি।
বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ বলেন, 'ফেরি স্বল্পতার কারণে পাবনার কাজিরহাট ও মানিকগঞ্জের আরিচা নৌপথে ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। গত ১২ আগস্ট বেগম সুফিয়া কামাল ও বেগম রোকেয়া নামের দ্রুতগামী দুটি ফেরি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে, এখানে দেওয়া হয় অপেক্ষাকৃত দুর্বল রো-রো ফেরি ভাষা সৈনিক ডা. গোলাম মাওলা। এতে সংকট আরও বেড়ে যায়।'
এই সংকট উত্তরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আরও কয়েকটি ফেরি দেওয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কর্তৃপক্ষ এখন একটি মাঝারি আকারের পুরাতন ফেরি দিয়েছে,' যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে এই নৌপথে যে তিনটি ফেরি আছে তার মধ্যে একটি বড় (গোলাম মাওলা), একটি মাঝারি (কলমি লতা) এবং একটি ছোট (কপোতি) আকারের। এই তিনটির সবকয়টিই পুরাতন এবং ইঞ্জিনের সক্ষমতা কম। যমুনার তীব্র স্রোতের প্রতিকূলে এগুলোর চলতে সমস্যা হচ্ছে।'
'আরও অন্তত একটি বড় আকারের নতুন ফেরি হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে,' বলেন তিনি।
এদিকে, ফেরি স্বল্পতা এবং নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিতে গাড়ি পার হচ্ছে কম। ফলে ঘাটে ঘাটে আটকা পড়ছে শত শত যানবাহন।
আজ সোমবার আরিচা ঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে ৯০টি ট্রাক এবং ৬০টি ছোট গাড়ী। দীর্ঘ সময় ঘাটে আটকা থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আটকে পড়া গাড়ির চালক, সহযোগী এবং ছোট গাড়ির যাত্রীরা।
নাব্যতা সংকটের কারণে ২০০১ সালে আরিচা ফেরি ঘাট পাটুরিয়ায় স্থানান্তর করা হয়। তখন থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথ চালু আছে। এই নৌ রুটে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ যাতায়াত করছে।
এদিকে, নাব্যতা সংকট কেটে যাওয়ার গেলে দীর্ঘ ২০ বছর বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
Comments