ঈদে ঢাকার কোন কাউন্টারে কোন ট্রেনের টিকেট
এবারের ঈদে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ কমাতে ঢাকার ৫টি স্টেশন থেকে আলাদা আলাদা রুটের ট্রেনের টিকেট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
আজ বুধবার রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর মধ্যে কমলাপুর থেকে পাওয়া যাবে পশ্চিমাঞ্চলগামী ও খুলনাগামী স্পেশাল ট্রেনের টিকেট।
বিমানবন্দর স্টেশনে পাওয়া যাবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট।
তেজগাঁও স্টেশনে পাওয়া যাবে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশালসহ ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী ও সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট।
ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পাওয়া যাবে মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট।
এছাড়া ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট পাওয়া যাবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে ৬ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বিশেষ ট্রেনের টিকেট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। শুধু স্টেশনের কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।
বিশেষ ৬ ট্রেনের মধ্যে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চলবে চাঁদপুর স্পেশাল ১ ও চাঁদপুর স্পেশাল ২।
এ ট্রেন দুটি ঈদের আগে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে এবং ঈদের পর ৪-৮ মে পরিচালনা করা হবে।
একই তারিখে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে চলবে দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল।
খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে ২৯ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত চলবে খুলনা স্পেশাল।
এছাড়া ঈদের দিন ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে সোলাকিয়া স্পেশাল ১ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে চলবে সোলাকিয়া স্পেশাল ২।
রেলওয়ে জানায়, ২৫ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত রেল চলাচল বন্ধ থাকবে না।
এতে অতিরিক্ত ৯২টি আন্তঃনগর ট্রেন বিশেষ ট্রিপ হিসেবে পরিচালিত হবে।
রেলমন্ত্রী জানান, টিকেট কেনার ক্ষেত্রে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ দেখাতে হবে।
একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন।
Comments