‘ঈদে ৪০ লাখ মানুষের চাপ পড়বে সদরঘাটে’

ঈদযাত্রায় এ বছর ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনালে অস্বাভাবিক চাপ পড়বে। ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরসহ এ ৩ জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষ নৌপথে উপকূলীয় জেলাগুলোতে যাবে। কিন্তু মাত্র ১২ দিনে একমুখী এতো যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক নৌযান না থাকায় লঞ্চের ডেকে অতিরিক্ত যাত্রীর পাশাপাশি ছাদেও যাত্রী বহন করা হবে। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাবে বলে জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
স্টার ফাইল ফটো

ঈদযাত্রায় এ বছর ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনালে অস্বাভাবিক চাপ পড়বে। ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরসহ এ ৩ জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষ নৌপথে উপকূলীয় জেলাগুলোতে যাবে। কিন্তু মাত্র ১২ দিনে একমুখী এতো যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক নৌযান না থাকায় লঞ্চের ডেকে অতিরিক্ত যাত্রীর পাশাপাশি ছাদেও যাত্রী বহন করা হবে। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাবে বলে জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।

আজ মঙ্গলবার সংগঠনটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান।

এতে বলা হয়েছে, প্রতি ঈদে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের ৪টি সিটি করপোরেশনসহ এ ৩ জেলা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ স্বজনদের কাছে যায়। তাদের মধ্যে ২৫ শতাংশ নৌপথে চলাচল করে। অন্যদিকে সড়ক ও রেলপথে যায় যথাক্রমে ৫৫ ও ২০ শতাংশ। এই হিসেবে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ লঞ্চসহ বিভিন্ন ধরনের নৌযানে চলাচল করে। তবে নিয়মিত দুর্ঘটনা, দূরপাল্লার সড়ক-মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বেহাল দশা, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের প্রধান ২টি মাধ্যম শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরিস্বল্পতা ও নানা অব্যবস্থাপনার কারণে অনেকেই সড়কপথ এড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। এর ফলে নৌপথে যাত্রীসংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪০ লাখ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতীয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিআইডব্লিউটিএ গত ২১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ থেকে ৬টি নৌপথের ৭০টি ছোট লঞ্চ চলাচল স্থগিত রেখেছে। তাই এবার ঈদে ৪০ লাখ ঘরমুখী নৌযাত্রীর একমাত্র মাধ্যম ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল। বিলাসবহুল ও বড় আয়তনের লঞ্চ চলাচলের জন্য ঢাকা থেকে বিভিন্ন উপকূলের বৈধ নৌপথের সংখ্যা ৪২টি হলেও যাত্রীস্বল্পতা ও নাব্য সংকটের কারণে মাত্র ৩৩টি নৌপথ ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিদিন ৮০-৮৫টি লঞ্চ এসব নৌপথ দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়।

নদ-নদী, নৌ পরিবহন ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সড়ক, রেল ও নৌদুর্ঘটনা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা বেসরকারি সংগঠনটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২৯ এপ্রিল থেকে ঈদের দাপ্তরিক ছুটি শুরু হলেও ২১ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দিন থেকেই মূলত ঈদযাত্রা শুরু হবে। ২১ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত ১২ দিনে ৪০ লাখ যাত্রী সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা নৌখাতে নেই। তবে ধর্মীয় আবেগ-অনুভুতির কারণে সকল বাধা উপেক্ষা করেই স্বজনদের সান্নিধ্যপ্রত্যাশীরা ছুটে যাবেন। এতে টার্মিনালে যেমন মারাত্মক অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হবে, তেমনি লঞ্চের ছাদসহ ডেকে মাত্রাতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে।

এছাড়া এবার দুর্যোগ মৌসুমেই উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ কারণে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তির পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকিও রয়েছে। তাই নৌপথে নিরাপদ ঈদযাত্রার জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় নৌযানের সংখ্যা বৃদ্ধি, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারির ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কমিটি।  

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Police see dead man running

Amin Uddin Mollah is dead and buried for two years and 10 months.

8h ago