উত্তরায় অধ্যাপক রতন সিদ্দিকীর বাসায় হামলা

বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর উত্তরায় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার ও গবেষক অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার দুপুরে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে ৬/এ রোডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর উত্তরায় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার ও গবেষক অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে ৬/এ রোডে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মোর্শেদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুপুরে ড. রতন সিদ্দিকী স্ত্রীসহ নিজ গাড়িতে বাসায় ফিরছিলেন। সে সময় তার বাসার সামনে রাখা একটি মোটরসাইকেলের জন্য গাড়িটি সরাসরি ভবনে প্রবেশ করতে পারছিল না।

মোটরসাইকেল সরানোর জন্য ড. সিদ্দিকীর গাড়িচালক হর্ন দেন এবং পরে গাড়ি থেকে নেমে মোটরসাইকেলের মালিককে খোঁজেন।

উপকমিশনার মোর্শেদ আলম বলেন, 'সে সময় তার বাসার পাশের মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে লোকজন বের হচ্ছিলেন। তাদের একটি অংশ সেখানে এসে হর্ন দেওয়া নিয়ে প্রথমে ড. সিদ্দিকীর গাড়ি চালক ও পরে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।'

এক পর্যায়ে তারা ড. রতন সিদ্দিকির বাসার গেটে ভাঙচুর চালান ও তার ওপর হামলার চেষ্টা করেন বলে জানান তিনি।

হামলা প্রসঙ্গে অধ্যাপক রতন সিদ্দিকীর মেয়ে পূর্ণাভা হক সিদ্দিকী এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, 'আমার বাবার ওপর আজকে হামলা করা হয় আমাদের বাসার সামনে।

আজকে জুম্মার পর আমাদের গেটের সামনে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়, আমার বাবাকে ঘুষি দেয়, ধাক্কা দেয়, নাস্তিক মালাউন হিন্দু বলে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়, আমার আম্মুকে অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়, আমাদের ড্রাইভার এবং দারোয়ানের ওপর হামলা করে।'

পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'আমাদের গাড়ি ঢোকার জন্য দুইবার হর্ন দেয়ার সাথে সাথে একজন এসে বলল গাড়ি ঢুকতে দেবে না।

গাড়িতে আম্মু বাবা ছিল, একটা বাইক গেটের সামনে। সরানোর জন্য বলল। মুহূর্তেই বলল নামাজের সময় গাড়ি ঢুকবে না। বাবা গাড়ি থেকে নামার পর আম্মুকে আর বাবাকে মালাউন হিন্দু নাস্তিক বলে গালাগাল করে।'

অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। আমার স্ত্রী বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেছেন।'

উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার হাসান মাহমুদ বলেন, 'এ ঘটনায় ২০০-৩০০ জন অজ্ঞাতকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। তবে, এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।'
 

 

Comments