উদ্বোধনের আগেই সেতুর সংযোগ সড়কে ধস

উদ্বোধনের আগেই চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত গাজীপুর-ধানুয়া সেতুর সংযোগ সড়কের নিচের বালি সরে গিয়ে ধসে গেছে এবং বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেতুসহ সড়কটি। এ নিয়ে স্থানীয়রা ও ঘুরতে আসা ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ছবি: আলম পলাশ

উদ্বোধনের আগেই চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত গাজীপুর-ধানুয়া সেতুর সংযোগ সড়কের নিচের বালি সরে গিয়ে ধসে গেছে এবং বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেতুসহ সড়কটি। এ নিয়ে স্থানীয়রা ও ঘুরতে আসা ব্যক্তিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীপুর বাজার ও গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে ডাকাতিয়া নদীর ওপর ৬ কোটি ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৯৯ মিটার লম্বা একটি সেতু নির্মাণ করে। কিন্তু, এখনো এটির উদ্বোধন হয়নি।

পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি মাইন উদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, 'মূল সেতুটির পশ্চিম পাশে সংযোগ সড়কের নিচ থেকে ধীরে ধীরে বালি সরে গিয়ে রাস্তাটি তলিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার-বার জানিয়েও কোনো ধরনের প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এই ধসের কারণে সড়কটিও ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। ফলে, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে।'

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহম্মেদ বলেন, 'ধানুয়া-গাজীপুর সেতুর পশ্চিম পাশে সেতুর সংযোগ সড়কের নিচের বালি সরে গেছে। এটি দ্রুত মেরামত করা হবে।'

স্থানীয়রা জানান, সেতুটি নির্মাণের পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলে প্রতিদিনই তার সৌন্দর্য দেখতে শত শত দর্শনার্থী আসতে শুরু করে। এটিকে কেন্দ্র করে এই সড়কের দু'পাশে গড়ে ওঠে অনেক দোকানপাট।

জানতে চাইলে গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল চৌধুরী বলেন, 'বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Asphalt melting due to heat, bargain bitumen

Amid the persisting heatwave, road surface in several districts has melted due to what experts say is the use of bitumen not strong enough to withstand extreme heat.

46m ago