কমলগঞ্জে কম ওজনের অসুস্থ ভেড়া বিতরণের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের মাঝে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে কম ও অসুস্থ ভেড়া বিতরণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
কমলগঞ্জে ভেড়া বিতরণ কার্যক্রম। ছবি: স্টার

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের মাঝে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে কম ও অসুস্থ ভেড়া বিতরণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণীসম্পদ  কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

সমতল ভূমিতে বসবাসরত দেশের অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি, জীবনমান উন্নয়ন ও আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে ৩৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ওই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তালিকায় কমলগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ২০০ পরিবার আছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে কমলগঞ্জ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এখানকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ভেড়া বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার ৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুস শহীদ। উদ্বোধনের দিন ২০টি পরিবারের কাছে ৪০টি ও এর ১ সপ্তাহ পর আরও ৮০টি পরিবারের মাঝে ১৬০টি ভেড়া বিতরণ করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভেড়া বুঝে নেওয়া ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর এক সদস্য বলেন, 'ভেড়া লালন পালন বিষয়ক কর্মশালায় আমাদের ৯ কেজি ওজনের ভেড়া দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু যে ভেড়া আমাদের দেওয়া হয়েছে তার একেকটি ওজন ৫/৬ কেজির বেশি না।'

আরেক সুবিধাভোগীর ভাষ্য, 'আমাকে যে ভেড়া দুটো দেওয়া হয়েছে সেগুলো খুব অসুস্থ। জানি না কতদিন বাঁচবে।'

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ধনা বাউরির ভাষ্য, আকারে ছোট ও অসুস্থ ভেড়া দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা তাকে বলেছেন, 'আপনাদের হাতি এনে দেবো নাকি।'

এই ইউপি সদস্যের অভিযোগ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আরিফ মঈনউদ্দিনের যোগসাজশে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শর্ত অমান্য করে কম ওজনের ভেড়া উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করেছেন।

তিনি বলেন, 'আমরা বিতরণ কেন্দ্রেই এর প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। উল্টো প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আমাকে ধমক দিয়েছেন।'

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আরিফ মঈনউদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো আব্দুস ছামাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই অভিযোগের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।'

এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো: শাহীনুল হক বলেন, 'প্রথম ধাপে আমাকে যে ভেড়াগুলো দেওয়া হয়েছিল তার সবগুলোই ছিল নির্ধারিত আকার ও ওজনের চেয়ে ছোট। ওই চালানটি আমরা ফেরত দিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago