কারখানা খোলার খবরে কাজিরহাট ঘাটে উপচে পড়া ভিড়

রপ্তানিমুখী সব মিল কল-কারখানা আগামীকাল থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসায় কর্মস্থলের উদ্দেশে ছুটছে মানুষ। আজ শনিবার সকাল থেকেই পাবনার কাজিরহাট ফেরি ঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘাট ছেড়ে যাওয়া তিনটি ফেরিতে তিল ধারণে ঠাঁই ছিল না।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানুষের ভিড়ে তিনটি ফেরিতে কোনো যানবাহন পার করা সম্ভব হয়নি।
কাজিরহাট ঘাটের ব্যবস্থাপক মাহাবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আজ সকালে যে তিনটি ফেরি ছেড়ে গেছে তার প্রতিটিতেই তিন হাজারের বেশি মানুষ ছিল। ঘাটে ফেরি দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষ উঠে পড়ায় যানবাহন নামাতে বেগ পেতে হয়েছে। নতুন করে কোনো যানবাহন ফেরিতে তোলা সম্ভব হয়নি। লকডাউন চলায় সড়ক পথে তেমন যানবাহন চলছে না। যে কারণে অল্প কিছু গাড়ি ঘাটে আটকা পড়েছে।
ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় নির্বাহী পদে চাকরি করেন ফারুক সরকার। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, এবারের ঈদে বাড়িতে আসার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন ও কারখানা বন্ধের ঘোষণা আসায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাড়িতে এসেছিলাম। হঠাৎ করে কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিপদে পড়েছি। পরিবারের সদস্যদের রেখে আমাকে একাই ফিরতে হবে।
কাজিরহাট ফেরিঘাটে কর্মরত সাব্বির হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রতিটি ফেরিতে সাধারণত এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী পার করা হয়। এখন তিন থেকে চার হাজার মানুষ পার হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানানো কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, করোনার ভয়াবহতার কথা মাথায় না রেখে এভাবে চলাচল করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এভাবে চলাচল করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে।
Comments