জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম আর নেই

জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

রফিকুল ইসলামের ছেলে বর্ষণ ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'গত শুক্রবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাবাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের লাইফ সার্পোটে রাখা হয়। ২৬ নভেম্বর বিকেলে তাকে হাসপাতালের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।'

গত ৭ অক্টোবর পেটের ব্যথা নিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এই অধ্যাপক। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার ফুসফুসে পানি ধরা পড়ে। সেখানেই চিকিৎসা চলে কিছুদিন। তারপর কিছুটা ভালো বোধ করায় তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়।

রফিকুল ইসলাম ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেখাপড়া করেন। ভাষাতত্ত্বে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন ও গবেষণা সম্পাদনা করেন আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়, মিশিগান-অ্যান আরবর বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্ট ওয়েস্ট সেন্টারে।

রফিকুল ইসলাম বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি জাতীয় অধ্যাপক হন। শিক্ষা, সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক পেয়েছেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। ২০২১ সালের ১৮ মে সরকার তাকে ৩ বছরের জন্য বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব দেয়।

রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক ছিলেন। আবুল মনসুর আহমদকে নিয়ে গবেষণাও করেছেন। তার সম্পাদনায় বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে ৩ খণ্ডে আবুল মনসুর আহমদ রচনাবলী। চতুর্থ খণ্ড প্রকাশিতব্য। চলতি বছর মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার-প্রসারে অবদান রাখায় তাকে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক' দেওয়া হয়।

ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা রফিকুল ইসলাম সেই সময়ের দুর্লভ আলোকচিত্রও ধারণ করছিলেন। তিনি অন্তত ৩০টি গ্রন্থের রচয়িতা। সাহিত্য ও গবেষণার জন্য পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমিসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago