ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলছে হালকা যানবাহন

ঈদ উপলক্ষ্যে আটদিন শিথিলের পর করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা। তবে ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাশাপাশি সড়কে কিছু কিছু যাত্রীবাহী পিকআপ ভ্যান চলতে দেখা গেছে। এ ছাড়া দুই-একটি পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকের চলাচলও চোখে পড়েছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাশাপাশি কিছু কিছু যাত্রীবাহী পিকআপ ভ্যান চলতে দেখা গেছে। ছবি: স্টার

ঈদ উপলক্ষ্যে আটদিন শিথিলের পর করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা। তবে ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাশাপাশি সড়কে কিছু কিছু যাত্রীবাহী পিকআপ ভ্যান চলতে দেখা গেছে। এ ছাড়া দুই-একটি পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকের চলাচলও চোখে পড়েছে।

ঈদের তৃতীয় দিন সকালে এই মহাসড়ক ধরে টাঙ্গাইল, নেত্রকোণা ও ময়মনসিংহ জেলা থেকে অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে আসা অনেক যাত্রীকে ঢাকার দিকে যেতে দেখা যায়।

নির্মাণ শ্রমিক রুবেল ও শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায়। কাজ করেন গাজীপুর সদর উপজেলার শিবিরচালা এলাকায়। তারা জানান, ঈদের পর কাজে যোগ দেওয়ার জন্য শুক্রবার ভোর ৫টায় বাড়ি থেকে বের হন তারা। পরে অটোরিকশায় ভেঙে ভেঙে দুই হাজার টাকার বেশি খরচ করে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিবিরচালায় পৌঁছান। তারা বলেন, 'চুক্তির কাজ। না এসে উপায় ছিল না।'

আবার ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে ঈদের পর দিন বৃহস্পতিবার শ্রীপুরের জৈনাবাজারে ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন ফাহিমা বেগম। সেখান থেকে আজ বাড়ির পথে রওনা দিয়ে জানতে পারেন যে লকডাউন চলছে।

ঢাকা এয়ারপোর্ট এলাকায় একটা বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত মিন্টু ও কবির নামের দুই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ভোরে টাঙ্গাইল সদর এলাকা থেকে রওনা দিয়ে ১২ টা নাগাদ মাওনা চৌরাস্তা পর‌্যন্ত আসতে তাদের একেক জনের খরচ হয়েছে ১৩ শ টাকা করে।  মাওনা চৌরাস্তা থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পৌঁছাতে আরও কত টাকা খরচ হবে- সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত নন।

এদিন সকাল থেকে ঢাকা ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি। জায়গায় জায়গা চোখে পড়ে তল্লাশি চৌকি। কিছু দূরপাল্লার বাস ভোরবেলায় চন্দ্রা মোড়ে যাত্রী নামিয়ে খালি ফিরে যায়।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিধি-নিষেধ কার্যকর করতে জেলাজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১০টির বেশি দল কাজ করছে।

Comments

The Daily Star  | English
BNP office in Nayapaltan

Column by Mahfuz Anam: Has BNP served its supporters well?

The BNP failed to reap anything effective from the huge public support that it was able to garner late last year.

9h ago