থেমে থেমে ঘুরছে চাকা, স্থবির রাজধানী

সকাল ৯টায় খিলগাঁওয়ের বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইশতিয়াক হোসাইন। তার অফিস ফার্মগেট। সাধারণত বাসা থেকে অফিসে যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট। আজ লেগেছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই যারা বিভিন্ন কাজে বের হয়েছেন তাদের অনেকেরই অভিজ্ঞতা ইশতিয়াক হোসাইনের মতোই।
ইশতিয়াক হোসাইন বলেন, 'যানজটের সঙ্গে গরমে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। ঢাকায় বসবাস করা দিনদিন আরও কঠিন হয়ে উঠছে। যারা একটু অসুস্থ এই যানজটে তাদের ভোগান্তিটা অনেক বেশি।'
আরেকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাফিউল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার পরীবাগ থেকে ফার্মগেটে বাইকে আসতে প্রায় ১ ঘণ্টা লেগেছে। অন্য সময় সর্বোচ্চ ১০-১৫ মিনিট লাগে। পরীবাগ এলাকাতেই প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।'
বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মিরপুর ১০ থেকে ক্যান্টনমেন্ট হয়ে মগবাজারে যেতে আমার সর্বোচ্চ ২ ঘণ্টা লাগে। আজ লেগেছে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। এমন যানজট সবশেষ কবে দেখেছি তা মনে নেই।'

দ্য ডেইলি স্টারের ফটো সাংবাদিক প্রবীর দাশ রাজধানীর বিজয় সরণি, মিরপুর রোড, মোহাম্মদপুর এলাকা, শাহবাগ, কাকরাইল, মতিঝিল এলাকা ঘুরে তীব্র যানজটের দৃশ্য দেখতে পেয়েছেন ।
তিনি বলেন, 'রাজধানীর যেসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি সেসব এলাকায় যানজট অনেক বেশি দেখা গেছে।'
রাজধানীর মিন্টো রোড এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলেন, 'মঙ্গলবারে একটু আরামে দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু, আজ গাড়ি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি।'
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্কুল কলেজসহ সবকিছু খুলে যাওয়া সকালে অনেকে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করেছেন। ফলে কিছু রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই যানজট একটু বেশি দেখা গেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'সকালে যে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে সেটি এখনো টানতে হচ্ছে। রাস্তায় আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল আছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'
Comments