আগুন নেভাতে এসে চিরঘুমে মনিরুজ্জামান

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভাই মনিরুজ্জামানের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বড়ভাই মো. তাজউদ্দীন (মাঝে)। ছবি: এফ এম মিজানুর রহমান/স্টার

সীতাকুণ্ডের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম যে ৫ জন ঘটনাস্থলে এসেছিলেন তাদের একজন ছিলেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান।

গত এপ্রিলে তিনি ঢাকা থেকে পোস্টিং নিয়ে আসেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে। মাস পেরোতে না পেরোতেই তার জীবনে নেমে এলো অন্ধকার। সীতাকুণ্ডের ডিপোতে ৩০ বছর বয়সী এই অগ্নিনির্বাপক কর্মীর অকাল মৃত্যু তার পরিবারকেও গভীর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে।

আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো দ্য ডেইলি স্টারকে জানাচ্ছিলেন নিহত মুনিরুজ্জামানের বড়ভাই মো. তাজউদ্দীন।

ফেনীতে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিডেটে চাকরিরত মো. তাজউদ্দীন বলেন, 'ভোররাতে মনিরুজ্জামানের বন্ধুরা ফোন দিয়ে জানান সে নিখোঁজ আছে। তার খোঁজে ফেনী থেকে হাসপাতালে এসেছি।'

'এখানে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই,' বলেই প্রবল কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

মো. তাজউদ্দীনের কাছে জানা যায়, মাত্র এক মাস আগে বাবা হয়েছেন মনিরুজ্জামান। তার মৃত্যুর কথা এখনো তার স্ত্রীকে জানানো হয়নি।

কীভাবে কাকে কী বলবেন তাও ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। তার ক্রমাগত কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে চমেকের বাতাস। ভাইয়ের অকাল মৃত্যু তাকেও ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অনিশ্চিত অন্ধকারে।

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus on july charter 2025

Yunus rules out referendum over July Charter

Chief adviser insists party agreement key to polls; vows justice, reform ahead of election

3h ago