'চিনতে পারলে ভাইয়ের লাশটা নিয়ে যেতাম'

কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার খবর পেয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলেন সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের সালাউদ্দিন সবুজ। ধারণা করা হচ্ছে মানুষের জীবন বাঁচাতে গিয়ে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফায়ার ফাইটার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করতে এসেছেন বড়ভাই। ছবি: সঞ্জয় কুমার বড়ুয়া/স্টার

কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার খবর পেয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলেন সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের সালাউদ্দিন সবুজ। ধারণা করা হচ্ছে মানুষের জীবন বাঁচাতে গিয়ে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ভাইয়ের লাশের খোঁজে এসেছেন সবুজের বড় ভাই কামাল উদ্দিন। ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপ পরিচালক মো. আনিসুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৯ জনের মরদেহ হাসপাতালে এসেছে। তাদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। ৩ জনের লাশ দেখে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। কামালের ধারণা এদের মধ্যেই হয়ত তার ভাইয়ের মরদেহ আছে।

মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে কামাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চিনতে পারলে ভাইয়ের লাশটা নিয়ে যেতাম।'

ভাইয়ের লাশ নিতে আসা কামাল উদ্দিন নিজেও একজন ফায়ার ফাইটার। তিনি ফটিকছড়ি ফায়ার স্টেশনে কর্মরত। ফায়ার ফাইটারদের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি চট্টগ্রামে ছুটে আসেন।

কামাল উদ্দিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের চাকরির ঝুঁকির কথা জানা থাকায় আমার ভাইকে এই চাকরি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। সে খুব সহজ সরল ছেলে ছিল। তাই বাড়ির কেউ চাইতো না সে এই চাকরি করুক।

সালাউদ্দিন সবুজের বাড়ি ফেনির নাসিমপুরে। ১১ বছর আগে তিনি ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তার ছোট ছেলের বয়স ১৮ মাস। মেয়ে পড়ে প্রথম শ্রেণিতে।
 

Comments