‘ছেলের ক্ষতি না হয়ে আমার কেন হলো না’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন মো. বাবুল (৩০)। তিন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মো. বাবুল কইটেইনার ডিপোতে চালকের কাজ করতেন।
হাসপাতালে অসুস্থ ছেলের পাশে মা মর্জিনা বেগম। ছবি: সঞ্জয় কুমার বড়ুয়া

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়েছেন মো. বাবুল (৩০)। তিন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মো. বাবুল কইটেইনার ডিপোতে চালকের কাজ করতেন।

হাসপাতালে ছেলের অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবুলের মা মর্জিনা বেগম।

মর্জিনা বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আহত ছেলের কষ্ট আমি আরও সহ্য করতে পারছি না। ছেলের ক্ষতি না হয়ে আমার কেন হলো না।'

মো. বাবুলের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর। সেখান থেকে মা মর্জিনা বেগম হাসপাতালে ছুটে এসেছেন। 

তিনি বলেন, 'ডিপোতে আগুন লাগার পরপরই বাবুল আমাকে ফোন করেছিল। ওকে নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কারণ ঘটনার পর থেকে ছেলেন ফোন বন্ধ পেয়েছিলাম। অবেশেষ হাসপাতালে তাকে আহত অবস্থায় খুঁজে পাই। ওর অবস্থা দেখে আমি নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না। তবে, ও যে বেঁচে আছে সেটা আমার সৌভাগ্য।'

বাবুল সেখানে আড়াই বছর ধরে কাজ করছিলেন। তিনি পরিবারের ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে সবার বড়। 

মর্জিনা বেগম বলেন, 'ওর আয়ের টাকা দিয়ে আমাদের পরিবারের খরচ চলত। আমার ছেলেটার জন্য খুবই কষ্ট হচ্ছে।'

Comments