‘পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারায় খুব কষ্ট পেয়েছি’

আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের অনেক ভোটার। অনেকে সারাদিন অপেক্ষার পর ভোট না দিয়ে ফিরে গেছেন। 
ছবি: স্টার

আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের অনেক ভোটার। অনেকে সারাদিন অপেক্ষার পর ভোট না দিয়ে ফিরে গেছেন। 

আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। 

কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।  

নির্বাচন অফিস সূত্র জানিয়েছে, বাউরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ২১ হাজার ৬৬৭ জন। পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৮৬৫ এবং নারী ভোটার ১০ হাজার ৮০২ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৯টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৬৯টি।

জানা গেছে, বাউড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ৩ হাজার ১৮৪ জন। কিন্তু ভোট পড়েছে ১ হাজার ৪৫৮টি। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে, আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট না দিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে অনেক ভোটারকে।

ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা আব্দুল হামিদ (৬৫) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি অতীতে সব নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলায় এবার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারেননি। 

তিনি বলেন, 'আমি মারাত্মকভাবে হতাশ হয়েছি। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারায় খুব কষ্ট পেয়েছি।'

একই কেন্দ্রের ভোটার শাহানারা বেগম (৪৩) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্মার্ট কার্ড সঙ্গে আনার পরও এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারলাম না। মেশিনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না করার জন্য আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে অপেক্ষা করেও ভোট দিতে পারিনি। আমার ফিঙ্গারপ্রিন্ট কেন  ম্যাচ করেনি সেটা জানি না।'

একই কেন্দ্রের ভোটার আলেপা খাতুন (৫৬) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রথমবার মেশিনে ভোট দিতে এসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না করায় ভোট দিতে পারিনি। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। আমার মতো অসংখ্য ভোটার ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরে গেছেন।'

ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ না করার সমস্যা ইউনিয়নের সবগুলো ভোটকেন্দ্রে দেখা গেলেও হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ সমস্যা ছিল সবচেয়ে বেশি।

বাউরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১৪ জন ও ৩৭ জন সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

বাউরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু সাঈম সাংবাদিকদের জানান, যেসব ভোটারের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনে ম্যাচ করেনি তাদের ভোটগ্রহণ করা হয়নি। আর এসব ভোটারের ভোটগ্রহণ করার বিধানও নেই। কী কারণে ভোটারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ করেনি সেটা এক্সপার্টের মতামত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।'

ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভোট গণনা শেষে বলা যাবে কত শতাংশ ভোটার ভোট দিতে পেরেছেন।'

 

Comments