নির্বাচনের প্রস্তুতি: সেপ্টেম্বরের মধ্যেই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষ করতে চায় ইসি

election commission logo

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব নির্বাচনী উপকরণ কেনা সম্পন্ন করতে চায় কমিশন। এই লক্ষ্যেই ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াগুলো চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ইসি সচিব বলেন, 'নির্বাচনী সামগ্রী কেনার প্রকিউরমেন্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এ জন্য একটি টেন্ডারে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে, সে কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।'

তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২১ ধরনের ফরম, ১৭ ধরনের প্যাকেট, পাঁচ ধরনের পরিচয়পত্র, আচরণবিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়াল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকা ইত্যাদি ছাপানোর কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ব্যালট পেপারে প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক থাকে, যা নির্বাচন কমিশনের সময়সূচি ঘোষণার পরপরই তালিকা অনুযায়ী ছাপাতে হয়। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ ব্যালট পেপার মুদ্রণ করে মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়গুলোতে পাঠানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

ইসি সূত্র জানায়, অন্যান্য ফরম, প্যাকেট, পরিচয়পত্র, আচরণবিধি, প্রতীকের পোস্টার, ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মুদ্রণ করে সংরক্ষণ করতে হবে।

সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন হতে পারে। সেই অনুযায়ী ইসি ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব জানান, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সময়সীমা নির্ধারণে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। সেই মোতাবেক আইন সংশোধনের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া, ৭৬টি আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে বলে জানান সিনিয়র সচিব। তিনি বলেন, 'এখন সেসব আবেদন পর্যালোচনার প্রক্রিয়া চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English
probe committee for past elections in Bangladesh

Govt launches probe into last 3 national polls

The government has formed a committee to investigate allegations of corruption, irregularities, and criminal activities in the three national elections held in 2014, 2018, and 2024.

8h ago