নূরজাহান মার্কেটে বেচাকেনা শুরু, সংস্কার চলছে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের

বৃহস্পতিবার বিকেলে নূরজাহান মার্কেটে বেচাকেনা শুরু হয়। ছবি: এমরান হোসেন/স্টার

গত মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের সময় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নূরজাহান মার্কেটের বেশ কিছু দোকান। এর মধ্যে ৭টি দোকান মালামালসহ পুরোপুরি পুড়ে গেছে। আগুনে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১০-১২টি দোকান। তবে এর মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার মার্কেটে বেচাকেনা শুরু হয়েছে।

বিকেলে সরেজমিনে নূরজাহান মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতি হয়নি এমন দোকানগুলো খুলেছে। ক্রেতারা আসা যাওয়া করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোতে সংস্কার কাজ চলছে। বন্ধ রয়েছে আগুনে পুরোপুরি পুড়ে যাওয়া অন্তত ৭টি দোকান।

আগুনে পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত একটি দোকানের মালিক ফয়সাল আকন্দ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তার দোকানের সব মালামাল পুড়ে গেছে। ফার্নিচার পুড়ে গেছে, বৈদ্যুতিক লাইন পুড়ে গেছে।

তিনি বলেন, 'সবকিছু ঠিকঠাক করে ঈদের আগে দোকান খোলা সম্ভব হবে না। দোকানে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাল ছিল। সব পুড়ে গেছে।'

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানে সংস্কারের কাজ চলছে। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

২০০৩ সাল থেকে এই মার্কেটে ব্যবসা করছেন ফয়সাল। নতুন করে আবার ব্যবসা শুরু করতে ঋণ নিতে হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোতে সংস্কার কাজ চলছে। দোকানের শাটার, বিদ্যুৎ সংযোগ, রঙের কাজ চলছে।

এমন একটি দোকান জো-সেলের মালিক মনির হোসেন ২৫ বছর ধরে নুরজাহান মার্কেটে ব্যবসা করছেন। মঙ্গলবারের সংঘর্ষে তার দোকান আগুনে পুড়ে না গেলেও, ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'ঈদের আগে দোকানে ৫ লাখ টাকার কাপড় এনেছিলাম। আগুনের ধোঁয়ায় সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন যা আছে দোকান ঠিকঠাক করে আগামীকাল বিকেল থেকে আবার বিক্রি শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।'

যোগাযোগ করা হলে নূরজাহান মার্কেটের সভাপতি সোহরাব হোসেন ডেইলি স্টারকে জানান, এ মার্কেটে ৫০০টির বেশি দোকান আছে।

শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ তলা এ মার্কেটের অন্তত ১০০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

তার দাবি, এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের অন্তত ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

'আজ বিকেল থেকে মার্কেট খুললেও, অনেক ব্যবসায়ী এখনো আতঙ্কে আছেন,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

‘As a freedom fighter, I have the right to live in peace’

Fazlur Rahman voices concern for his and family’s safety as protesters besiege his Dhaka home

50m ago